পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll 2023) মুখে বাঁকুড়ায় দলবদল। ছাতনায় তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন একাধিক নেতাকর্মী। কংগ্রেসের দাবি, এর ফলে শক্তিশালী হল তাদের সংগঠন। দলত্য়াগীদের আমল দিতে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব।


তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বেই রক্তাক্ত বাংলা। ভয়ঙ্কর ভাঙড়। কুরুক্ষেত্র ক্যানিং। ইন্দাস থেকে মুরারই জেলায় জেলায় দিকে দিকে অশান্তি। গ্রাম-বাংলার ক্ষমতা দখলের এই লড়াইয়ে হিংসার অবিরাম আস্ফালনের মধ্যেই চলছে দলবদলের খেলা। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে জঙ্গলমহল অধ্যুষিত বাঁকুড়া জেলায় তৃণমূল ও বিজেপিতে ভাঙন। ঘাসফুল ও পদ্মফুল ছেড়ে কংগ্রেসের 'হাত' ধরলেন একাধিক নেতা ও কর্মী। ছাতনায় তৃণমূল পরিচালিত মেট্যালা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কবিতা মাণ্ডি যোগ দিলেন কংগ্রেসে। বিজেপির ছাতনা মণ্ডল কমিটির সদস্য নিত্যানন্দ গঙ্গোপাধ্যায়ও গেরুয়া শিবির ছেড়ে কাঁধে তুলে নিলেন কংগ্রেসের পতাকা। কংগ্রেস সূত্রে দাবি, এই দু'জন ছাড়াও মেট্যালা ও তেঘরি অঞ্চলের তৃণমূল ও বিজেপির বেশ কিছু সক্রিয় কর্মী তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন।

তৃণমূলত্যাগী উপপ্রধানের বক্তব্য, নেতৃত্বের ব্যবহারে খুব্ধ হয়েই তাঁর এই দলবদল। বিজেপিত্যাগী মণ্ডল নেতার অভিযোগ, দলে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না তিনি। যদিও বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক তাঁকে আমল দিতে নারাজ। কয়েক মাস আগে এই ছাতনাতেই তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন শতাধিক কর্মী। এবার ভোটের মুখে যোগদান হল কংগ্রেস শিবিরে।


এদিকে ভাঙড়ে শাসকের 'অপারেশন-মনোনয়ন'। আক্রান্ত এবিপি আনন্দ। ছবি তুলতে বাধা। সাংবাদিকদের হুমকি। মনোনয়ন পর্বের পঞ্চম দিনেও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়। গতকালের ধুনধুমার কাণ্ডের পর, আজও দুষকৃতীদের মুক্তাঞ্চল বিডিও অফিস চত্বর। সকাল ১১টায় মনোনয়ন শুরু হতে না হতেই আবার বোমার আওয়াজে কাঁপল ভাঙড় এক নম্বর বিডিও অফিস চত্বর। কোথায় ১৪৪ ধারা! রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় বিধিনিষেধকে হেলায় উড়িয়ে বাঁশ, লাঠি, গাছের ডাল হাতে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হাজির তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। রুমালে মুখ ঢেকে ডান্ডা হাতে ISF-কে ঠান্ডা করতে রাস্তায় নেমেছেন তারা। মুখে মুখে ঘুরছে অ্যাকশনের কথা। প্রকাশ্যেই ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা। সকাল থেকেই কার্যত তৃণমূলের দখলে গোটা বিডিও অফিস চত্বর। নেতৃত্বে রয়েছেন শাসক দলের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল। মুক্তাঞ্চল ভাঙড়ে সংবাদ মাধ্যমকে কাজে বাধা। ছবি তুলতে দেওয়া হচ্ছে না চিত্র সাংবাদিককে। সকাল থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকলেও, অশান্তির সময় তল্লাটে কোনও পুলিশকর্মীর দেখা নেই। 


আরও পড়ুন: Food Tips: পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?