ক্যানিং: ভাঙড়ের পাশাপাশি উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) ক্যানিং-এও। মনোনয়ন পর্বের পঞ্চম দিনেও উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং (Canning)। মনোনয়ন জমা দিতে বেরিয়ে দুষ্কৃতী হামলার আশঙ্কায় রাস্তা অবরোধ তৃণমূলের (TMC)। আর তা নিয়ে চড়ছে পারদ। ক্যানিং এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শৈবাল লাহিড়ির নেতৃত্বে আজ মনোনয়জন জমা কর্মসূচি রয়েছে শাসক শিবিরের। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অভিযোগ, তাঁদের যাওয়ার পথে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রচুর দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছে।


যে কোনও মুহূর্তে তৃণমূল প্রার্থীদের ওপর হামলা চালাতে পারে তারা। এমনকি তাঁকে খুন করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। এই পরিস্থিতিতে ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে ক্যানিং হাসপাতাল মোড় অবরোধ করে রেখেছে তৃণমূলের হাজারখানেক কর্মী সমর্থক। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দাবি, যতক্ষণ না বাসস্ট্যান্ড এলাকা দুষ্কৃতীমুক্ত করা হবে, ততক্ষণ অবরোধ থেকে সরবেন না তাঁরা। শাসকদলের বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ ক্যানিং-বারুইপুর (Baruipur) ও ক্যানিং (Canning) -হেড়োভাঙা রোড। 


এ দিকে ভাঙড়ে শাসকের 'অপারেশন-মনোনয়ন'। ISF-কে ঠান্ডা করতে ডান্ডা হাতে রাস্তায় তৃণমূল। মনোনয়ন পর্বের পঞ্চম দিনেও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়। গতকালের ধুনধুমার কাণ্ডের পর, আজও দুষকৃতীদের মুক্তাঞ্চল বিডিও অফিস চত্বর। সকাল ১১টায় মনোনয়ন শুরু হতে না হতেই আবার বোমার আওয়াজে কাঁপল ভাঙড় এক নম্বর বিডিও অফিস চত্বর। কোথায় ১৪৪ ধারা! রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় বিধিনিষেধকে হেলায় উড়িয়ে বাঁশ, লাঠি, গাছের ডাল হাতে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হাজির তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।


রুমালে মুখ ঢেকে ডান্ডা হাতে ISF-কে ঠান্ডা করতে রাস্তায় নেমেছেন তারা। মুখে মুখে ঘুরছে অ্যাকশনের কথা। প্রকাশ্যেই ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা। সকাল থেকেই কার্যত তৃণমূলের দখলে গোটা বিডিও অফিস চত্বর। নেতৃত্বে শাসক দলের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল। মুক্তাঞ্চল ভাঙড়ে আক্রান্ত এবিপি আনন্দ। ছবি তুলতে বাধা। সাংবাদিকদের হুমকি। সকাল থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকলেও, অশান্তির সময় তল্লাটে কোনও পুলিশকর্মীর দেখা নেই। মনোনয়ন ঘিরে গতকাল যুদ্ধক্ষেত্র ভাঙড়। এতকাণ্ডের পরও বদলাল না হিংসার ছবি।আজও রণাঙ্গনের নাম ভাঙড়।