সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: পুরুলিয়া (Purulia) সোনার দোকানে (Gold Shop) ডাকাতির ঘটনায় মাস্টার মাইন্ড রবি গুপ্ত গ্রেফতার। পুলিশ সূত্রে খবর, জেলে বসেই এই ঘটনার নকশা তৈরি করে অভিযুক্ত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সোনার দোকানে ডাকাতির ছক করত বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ডাকাতির ঘটনায় মাস্টার মাইন্ড গ্রেফতার: পুরুলিয়ায় সোনার দোকানে বড়সড় ডাকাতি কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলাকে। নিরাপত্তারক্ষীকে বেঁধে রেখে, বন্দুক দেখিয়ে বেপরোয়া লুঠতরাজ করেছিল দুষ্কৃতীরা। গত ২৯ অগাস্ট পুরুলিয়া (Purulia) শহরের নামোপাড়া এলাকায় ১টি সোনার বিপণিতে ৭ জনের দুষ্কৃতী দল লুঠপাট চালায়। যাবার আগে বিপণির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়। ঘটনায় প্রায় ৮ কোটি টাকার সোনার ও হিরের সামগ্রী লুট করে। এই ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রথমে দিল্লি থেকে ১ জন ও পরে বিহার থেকে ১জনকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অজয় যাদবকে গ্রেফতার করা হয়। আর এবার পুলিশের জালে ঘটনার মূল পাণ্ডা। পুলিশ সূত্রে খবর, রবি যে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে এই ডাকাতির প্ল্যান করেছিল তা অন্য দেশের। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩টি মোটরসাইকেল। পুলিশের দাবি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেশ কিছু সোনার সামগ্রী উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, পুরুলিয়ায় এই ডাকাতির পরিকল্পনা হয়েছিল জেলে বসে। রীতিমতো রেকে করে পুরুলিয়ে শহরের এই নামি গয়নার বিপণিতে লুঠ হয়। জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী পুরুলিয়া থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডে মিলিত হয় ডাকাতরা। সেখান থেকেই ২৯ অগাস্ট, দুপুরে তারা পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়ায় গয়নার শোরুমে হানা দেয়। ৯ দিন আগে ২০ অগাস্ট থেকে পুরুলিয়ায় রেকি শুরু করে ডাকাতরা। এরপর ফাইনাল অপারেশনের দিন প্রায় ৮ কোটি টাকার সোনা, হিরের গহনা এবং শোরুমের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে চম্পট দেয় ৭ জনের ডাকাতদল। এই ঘটনায় ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লি থেকে বিকাশ কুমার নামে এক দুষকৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি বিহারের নালন্দায়। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর করমজিৎ সিং সিধু নামে আরও এক ডাকাতকে ঝাড়খণ্ডের সুদামডি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বাড়ি ঝাড়খণ্ডেই।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: রাজ্যপালের 'দুর্গারত্ন' পুরস্কার প্রত্যাখ্যান কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাবের