কলকাতা : তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আত্মীয় সুমিত মণ্ডল বীরভূমে বিজেপির যুব মোর্চার সম্পাদক। চাকরি চুরি-বিতর্কের মাঝে এই দাবি করে তৃণমূল ও বিজেপিকে এক সারিতে রেখে আক্রমণ শানাল সিপিএম। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক, মহম্মদ সেলিম ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে দাবি করেছেন, টেট পাস না করেও অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের সঙ্গে তাঁর তুতো ভাই সুমিত মণ্ডলও প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। সুমিত মণ্ডলকে বীরভূমে বিজেপি যুব মোর্চার সম্পাদক বলেও দাবি করেছেন মহম্মদ সেলিম (Md. Selim)।
কী বলছে বিজেপি ?
এনিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "যে সুমিতের নাম বলছেন, তিনি বহু আগে বিজেপিতে একবার এসেছিলেন। তার পরে তাঁর কোনও চিহ্নই নেই। সেটাও প্রায় ছয়-সাত বছর আগের কথা। দুই-তিন মাসের জন্য এসেছিলেন। তার পরে বিজেপির আর কোনও কিছুতে ছিলেন না। অতএব, আমাদের ওপর যে দায় চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে, সেটা পরিকল্পনামাফিক।"
আরও পড়ুন ; নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কাদের হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের? অনুব্রত-কন্যাকেও তলব
বাম আমলেও নেতাদের আত্মীয়রা চাকরি পেতেন, সব বিষয়েই তদন্ত হোক, মন্তব্য তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের। তিনি বলেন, "সিপিএম যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তাদের যত বড় বড় নেতা, তাঁদের যত আত্মীয়-স্বজন সবাই তো এখনও সরকারি চাকরি করেন। আমি নাম বলতে চাইছি না। যত বড় বড় সিপিএম নেতা আছেন তাঁদের বাড়ির সমস্ত লোকজন সরকারি কর্মচারী। সেগুলো তখন সামনে আসেনি। আজ যে কথা সিপিএম বলেছে, সেই জিনিসেরও তদন্ত হওয়া দরকার।"
এই বিতর্কের মাঝে আগে সক্রিয় বিজেপি করতেন বলে জানিয়েছেন সুমিত মণ্ডল। টেট-দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আদালতেই জবাব দেবেন বলে জানালেন অনুব্রতর আত্মীয়। তিনি বলেন, "যেটা দেখতে পাচ্ছি, একটাতে অমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে ছবি আছে। আমি তো সক্রিয় বিজেপি করতাম। সেই মুহূর্তে বিজেপি নেতাদের সাথে আমার ছবি থাকতেই পারে। গতকাল সংবাদ মাধ্যমকে আমার বিভিন্ন নথি, সার্টিফিকেট দেখিয়েছি। যে আমি টেট উত্তীর্ণ হয়েছি। সেই ডকুমেন্টও আমার কাছে আছে। বাকিটা গিয়ে দেখাব।"
প্রসঙ্গত, টেট (TET) পাস না করেই, শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং তাঁর ৫ ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে।