ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে জারি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ  ( Calcutta Medical College ) হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের অনশন ( Hunger Strike ) । অনশনে ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশ। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সংঘাত মেটার কোনও লক্ষণ নেই। 
শনিবার সকালেও জারি অনশন। জেদ নিয়ে রয়েছেন পড়ুয়াদের একাংশ। টানা ৪৮ ঘণ্টা খাদ্য স্পর্শ না করে অনশনকারী ৫ সদস্যর মধ্যে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে।  একজনের জ্বর  আরেকজনের রক্তচাপ কম । তবু জেদে অনড় তাঁরা। 


'আলোচনার দরজা খোলা আছে'


কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, আলোচনার দরজা খোলা আছে। আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবিতে অনড়। কলকাতা মেডিক্যালে অনির্দষ্টকালের অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৫ জন হবু চিকিৎসক। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ইন্দ্রনীল বিশ্বাস এদিন বলেন, 'ওরা অসুস্থ হলে, ডাক্তারের টিমকে যেতে দিতে হবে, পরীক্ষা করতে দিতে হবে। ওরা নিজেরা খুব ওয়াকিবহাল, অসুস্থ হলে ভর্তি হতে পারেন। ওরা আমাদের প্রস্তাব মানছে না, কিন্তু আমাদের আলোচনা চালিয়ে যাব। ' 

আরও পড়ুন :


‘ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন', পুলিশের পাশাপাশি IAS IPS অফিসারদেরও হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর


২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে, আন্দোলন জারি রেখেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল। তাঁদের সামনেই ওঠে স্লোগান ওঠে, ' শেম শেম, ছাত্র মেরে ছাত্র প্রেম, কলেজ কর্তৃপক্ষ শেম শেম' । এমনকী অনশনস্থলের কাছে লাগানো CC ক্যামেরা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন আন্দোলনকারীরা।


অনিকেত কর নামে এই আন্দোলনকারী পড়ুয়া বলেন, ' আমরা কলেজ কাউন্সিল মানি না। কারণ ছাত্র প্রতিনিধি নেই। আমরা অস্থায়ী স্টুডেন্ট বডি মানি না। আমরা নির্বাচন চাই, আমরা আন্দোলন করছি, রোগী পরিজনদেরও সমস্যা হয়, চিকিৎসার সমস্যা আছে, সব কিছু নিয়ে সরব হব। আমাদের প্রাইভেসি থাকবে না, তাই সিসি ক্যামেরা ঢেকে দিয়েছি।' 


তবে এসবের মধ্যেও স্বস্তির খবর হল, চিকিৎসা পেতে যে শিশুর বাবা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, এদিন সেই শিশুর কিডনির অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাকে দেখেও আসেন হাসপাতালের কর্তারা।