উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, সন্দেশখালি: শনিবার 'নিশ্চুপে' সন্দেশখালি (Sandeshkhali) পৌঁছলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Meenakshi Mukherjee)। সন্দেশখালিতে ঘুরতে বাধা দেওয়া হয় বাম নেত্রীকে। এদিকে আজই সন্দেশখালিতে অবাধে ঘুরছেন সুজিত, পার্থ। মীনাক্ষীকে সন্দেশখালিতে ঘুরতে বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। একাধিক জায়গায় জারি ১৪৪ ধারা, পুলিশের চোখ এড়িয়ে ঘুরপথে সন্দেশখালির ভিতরে ঢোকেন মীনাক্ষী। তাঁর সঙ্গে আছেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা।               


সূত্রের খবর, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের আজকের কর্মসূচি নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল। কর্মসূচি সম্পর্কে জানতেন না রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বড় অংশ। 


এদিকে, সন্দেশখালিতেই বাধা দেওয়া হল ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। এদিন মীনাক্ষী বলেন, 'পুলিশ কী চাইছে সেটা ওদের জিজ্ঞেস করে দেখা হোক। ১৪৪ ধারা যদি থাকেও তাহলে ১৪৪-এ একজন যেতে পারে তো? পুলিশ যেভাবে বলবেন সেভাবে যাব। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তো বাধা নেই। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আছে। মানুষ জমি ফেরত চায়, শাহজাহানদের শাস্তি চায়। পুলিশ, মানুষ, বিডিওর সঙ্গে কথা বলতে চাই। কিন্তু বেআইনিভাবে আটকাতে পারে না পুলিশ। এটাই হচ্ছে এই রাজ্যের পুলিশের চরিত্র।'      


আরও পড়ুন, টেরই পেল না পুলিশ ! মুখ ঢাকা সাদা ওড়নায়, ঘুরপথে সন্দেশখালি গেলেন মীনাক্ষী


এছাড়াও সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'যদি চাষের জমি থেকে থাকে তাহলে তা কীভাবে ভেড়ি হয়ে গেল? আমাদের কাছে লিখিত সব রয়েছে। বেআইনি কাজ করছে। এই বেআইনি কাজের জন্য ওনার বিরুদ্ধেই কমপ্লেন করব। মহিলা কমিশনে ওনার বিরুদ্ধে কমপ্লেন করব, তারপর ওনার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকব। তারপরে উনি কোন বাড়িতে থাকেন, কোন থানাতে থাকেন, সেই থানাতেও কর্মসূচি হবে...এরাই রাতের অন্ধকারে, যারা কমপ্লেন করছে, তাদের বাড়ি ঘরদোর এরা ভাঙছে গিয়ে। যারাই কমপ্লেন করছে, তাদের ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। যারাই সাহস করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, এই পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদেরকেই এরা ভয় দেখাচ্ছে।'       


এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারিতে বাম নেত্রী বৃন্দা কারাতকেও আটকানো হয়েছিল। ধামাখালি পৌঁছতেই সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাতকে আটকায় পুলিশ। এরপরে ভিডিও কলে বৃন্দা কারাতের সঙ্গে কথা বলেন সন্দেশখালির মহিলারা।