মেটিয়াবুরুজ: মেটিয়াবুরুজে রাজাবাগান থানা এলাকায় মিঠা তালাও লেনে কলে জল নেওয়াকে ঘিরে অশান্তি। দুই ব্যক্তির বিবাদকে কেন্দ্র করে মারামারি। অভিযোগ, একজন ধারাল কিছু দিয়ে গলায় আঘাত করে আরেকজনকে। মহম্মদ আশফাক নামে আহত ব্যক্তিকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক নাসিম খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মারামারি, হামলার ছবি ধরে পড়েছে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরায়। 


সম্প্রতি জমি (land) নিয়ে বিবাদের (controversy) জেরে এক ব্যক্তিকে খুনের (murder) চেষ্টার (attempt) অভিযোগ ওঠে আত্মীয়দের (relative) বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদ (murshidabad) জেলার বড়ঞা এলাকার ঘটনা। হামলার মুহূর্তও ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। তবে ফুটেজটির সত্যতা আলাদা ভাবে যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।


কী ঘটেছিল?
বড়ঞা থানার অন্তর্গত কুমরাই মসজিদ পাড়া। গতকাল দুপুরে সেখানেই ঘটনাটি ঘটেছে। হামলার অভিযোগ উঠেছে ওসমান মির্জা ও গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে। প্রাথমিক ভাবে শোনা গিয়েছে, কদর আলি মির্জার সঙ্গে জমি নিয়ে পুরনো বিবাদ ছিল ওসমান ও গোলামের। অভিযোগ, সেই বিবাদ থেকেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে কদর আলি মির্জার উপর হামলা চালাল ওই দুজন যার ভিডিও সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল দুপুরে রাস্তায় ওই ব্যক্তিকে দু’জন এসে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার পরই তিনি বাড়িতে ঢুকে দরজা দিয়ে দেন। বড়ঞা থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ২ জন পলাতক। এর আগেও নানা অপরাধের খবরের কারণে শিরোনামে এসেছে। সপ্তাহদুয়েক আগেই এক হাড় হিম করা খুনের খবর শোনা গিয়েছিল এই জেলাতেই।


আগেও শিরোনামে...
সপ্তাহদুয়েক আগের ঘটনা। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সন্দেহে প্রতিবেশীকে বাড়িতে ডেকে এনে গলার নলি কেটে খুনের অভিযোগ উঠেছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানা এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম ফিরদৌস শেখ। বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিবেশী ফিরদৌসের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল আখতারুল শেখের। অভিযোগ, এই অবস্থায় বুধবার স্ত্রীকে দিয়ে ফোন করিয়ে ফিরদৌসকে ডেকে পাঠান আখতারুল। তার পর গলার নলি কেটে নৃশংসভাবে খুন করেন। অভিযুক্তের স্ত্রী সনিয়া বিবি বলেন, "বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল...খোঁজ পাচ্ছিলাম না...পরে শুনলাম মেরে দিয়েছে।" আবার সেপ্টেম্বরে বহরমপুরের রাজধরপাড়ায়  বৃদ্ধ দম্পতি খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দুই নাতিকে। পুলিশি জেরায়, তারা অপরাধ স্বীকার করে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা দাদুর কাছে থেকে পৈতৃক সম্পত্তি না পাওয়ার জন্যই এই খুন করে।