রণজিৎ সাউ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আগ্নেয়াস্ত্র (arms) সহ এক দুষ্কৄতিকে (miscreants arrest) গ্রেফতার করল সোনারপুর থানার (sonarpur police station) পুলিশ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে কালিকাপুরের তেমাথা থেকে যাঁকে গ্রেফতার করা হয় তাঁর নাম রাজেশ মণ্ডল বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
কী ঘটেছিল?সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল সোনারপুর থানার পুুলিশ। তার পরই গ্রেফতার করা হয় রাজেশকে। পুলিশের দাবি, ধৃতের থেকে একটি ওয়ান শটার ও এক রাউন্ড লাইভ কার্তুজ উদ্ধার করা গিয়েছে যা বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ কিন্তু ওই আগ্নেয়াস্ত্র এল কোথা থেকে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কী কারণে গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ অভিযুক্ত ঘোরাঘুরি করছিলেন, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সোনারপুর থানার পুলিশ সুত্রে খবর ৷ তবে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ধৄত এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৄতি। তাঁর নামে বারুইপুর পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। আজই বারুইপুর আদালতে পেশ করার কথা তাঁকে। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা একেবারে নতুন নয়।
আগেও উদ্ধার অস্ত্র...গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা দুই জেলা মুর্শিদাবাদ ও মালদা থেকে উদ্ধার হয়েছিল বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও কার্তুজ। পুলিশের জালে ধরা পড়ে একাধিক সন্দেহভাজন অস্ত্রকারবারি।আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ফতেপুর ফেরিঘাটে জড়ো হয়েছেন তিনজন। সূত্র মারফত এই খবর পেয়ে ঘটনার দিন সন্ধেয় অভিযান চালায় ডোমকল থানার পুলিশ। তিনজনকেই গ্রেফতার করে তারা। উদ্ধার হয় দুটি দেশি পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলি। কী উদ্দেশ্যে, কোথায় অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? সেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে তার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের রেজিনগরেও পুলিশি অভিযানে উদ্ধার হয়েছে একটি দেশি বন্দুক ও এক রাউন্ড গুলি। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত অস্ত্র কারবারি নদিয়ার কালীগঞ্জের বাসিন্দা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে দেদার বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। এনিয়ে একযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায় বিরোধীরা। মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার সেবার বলেন, 'রেজিনগর, বেলডাঙা, ডোমকল, জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রে বোমা গুলি শিল্পে পরিণত হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীদের দমাতেই এত অস্ত্র।' সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের অভিযোগ, 'ডোমকলকে অশান্ত করার চেষ্টা।' মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেছিলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলার পরেও সব অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। পঞ্চায়েতে ভোটের আগে যা অস্ত্র উদ্ধার হবে তাতে চিনের সঙ্গে ৬ মাস যুদ্ধ করা যাবে।' বিরোধীদের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন:অ্যাডিনোয় ৪৫ লক্ষের বিল! হাসপাতালে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী, সর্বস্বান্ত পরিবার