মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: চুরিতে (theft) কি ধকল কম? পরিশ্রমও তো কম হয় না। খিদেও হয়তো পায়। সম্ভবত সে কারণেই লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না (ornaments) ও নগদ (cash) চুরির (theft) পর দিব্যি ফ্রিজ (refrigerator) খুলে পেস্তাবাদাম (pesta nut) খেল দুষ্কৃতীরা (miscreants)। তার পর যে আবাসনে চুরি, সেখানকার সমস্ত আলো খুলে পালাল তারা। দুর্গাপুরের (durgapur) নিউ টাউনশিপ থানার MAMC কলোনী এলাকার ঘটনা।
কী হয়েছিল?
গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নিউ টাউনশিপ থানার MAMC কলোনী এলাকার রবিন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায় গত কিছু দিন বাড়ি ছিলেন না। গুজরাতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার দুপুরেই ফেরেন তাঁরা। আর ফিরেই চক্ষু চড়কগাছ। দেখেন, আবাসনের দরজা ভাঙা। ভিতরে ঢুকে নজরে আসে, সমস্ত কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। এতেই শেষ নয়। ঘরের হাল আরও ভালো করে ঠাওর করবেন বলে আলো জ্বালাতে গিয়েছিলেন। তখন দ্বিতীয় পর্যায়ের ধাক্কা। বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির নজরে আসে, সব কটি বাল্ব খুলে নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। একে একে নজরে আসে তাণ্ডবের বাকি চিহ্ন। বাড়ির মেঝেতে আলমারি ভাঙা হয়ে পড়ে রয়েছে। ভাঁড়ে জমানো প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা গায়েব, অভিযোগ দম্পতির। আলমারি থেকে প্রায় পাঁচ ভরি সোনার অলংকারও চুরি গিয়েছে, জানান তাঁরা। তবে চমকের তখনও বেশ কিছুটা বাকি। দম্পতি জানাচ্ছেন, চুরির পর সম্ভবত ফ্রিজও খুলেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু কোনও খাবার পায়নি। শেষমেশ পেস্তাবাদাম খেয়ে চম্পট দেয়। এ ভাবে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার একটি কলোনি এলাকার আবাসনে চুরির অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। আতঙ্কে এলকাবাসী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
চুরি করতে এসে নানা নজির...
গত জুলাইতে এমনই অদ্ভুত এক চুরির ঘটনা শোনা গিয়েছিল পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে। শোনা যায়, চুরি করতে এসে নগদ টাকা না পেয়ে মিষ্টির দোকানে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, পালানোর সময় রাগের চোটে ডিটারজেন্ট ছিটিয়ে সব মিষ্টি নষ্ট করে দেয়। মালিক জয়ন্ত লাহার দাবি, অন্যান্য দিনের মতো ঘটনার দিন রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন তিনি। পর দিন সকালে দোকান খুলতে এসে দেখেন, দরজার তালা ভাঙা। চার দিক লন্ডভন্ড, ভিতরে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এর পরই নজরে আসে মোক্ষম বিষয়। দোকানের গ্যাস সিলিন্ডার, তেলের টিন-সহ বেশ কিছু জিনিস উধাও, টের পান জয়ন্ত। সঙ্গে দেখেন, প্রায় ১০ হাজার টাকার মিষ্টি নষ্ট করা হয়েছে। সব কটির উপরই ডিটারজেন্ট ছড়ানো।
আরও পড়ুন:কালীপুজোর আগে ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি, সবথেকে খারাপ অবস্থা কোন জেলার ?