রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ফের বিতর্কে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক (MLA) হুমায়ুন কবির (humayun kabir)। দলেরই সভামঞ্চে নাম না করে তৃণমূল নেতাদের (party leaders) ‘চুনোপুটি’ বলে কটাক্ষ (banter) করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। শোনা গিয়েছে হুমকিও (threat), দাবি অনেকের।


কী অভিযোগ?
শনিবার দুপুরে ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের তালিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সরমস্তপুর গ্রামে কর্মিসভা করেন হুমায়ুন। অভিযোগ, সেই সভামঞ্চ থেকেই নাম না করে ভরতপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির উদ্দেশে তোপ দাগেন তিনি। এই অংশের ব্লক তৃণমূল সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান সুমনের সঙ্গে হুমায়ুন কবীরের সম্পর্ক যে মসৃণ নয়, তা স্থানীয় তথা জেলার অনেকেই জানেন। তার উপর শনিবার তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'যাঁরা পুঁটি মাছের মতো লাফাচ্ছেন, তাঁদের লাফাতে দিন। কিছু পুঁটি মাছ এখানে লাফাচ্ছে। পুঁটি মাছদের কত ক্ষমতা থাকে, আমরা তা ভাল করে জানি। … যেখানে পুঁটি মাছ লাফাবে, বড় ধরনের ট্যাংরা মাছ ছেড়ে দেব।' তাঁর বার্তা, কেউ নিজেকে কেউকেটা ভাবলে শুধরে নিন। শনিবারের সভায় যে মুস্তাফিজুর ছিলেন না, সেই নিয়েও আক্রমণ শানিয়েছেন হুমায়ুন। বলেন, 'চুনোপুঁটি কিছু আছে, আমরা লক্ষ্য করছি। দলের মধ্যে থেকে মিটিং মিছিলে কেউ আমাদের ডাকছেন না। আমাদের লোকেরা ডাকলে তিনি আসছেন না। তাঁদেরই আখ্যা দিচ্ছি। একই দলের থেকে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে।' এতেই শেষ নয়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, দলের মধ্যে থেকে যাঁরা বিরোধ বাধাতে চাইছেন, সেই নেতাদের ‘ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে’ জবাব দেওয়া হবে। বিধায়কের দাবি, এক নেতা গ্রামে গ্রামে প্রার্থী ঠিক করে দিচ্ছে। নাম না করেই সেই নেতাকে হুঁশিয়ারিও দেন হুমায়ুন।

আগেও এক ঘটনা...
গত বছর জুলাইয়ে উপনির্বাচনের আগেও তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। সে বার একটি ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যায়, শক্তিপুরের একটি সংবর্ধনা সভায় ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক সরাসরি রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীকে মারধরের হুমকি দিচ্ছেন। ভিডিওটির সত্যতা এবিপি আনন্দ যাচাই করেনি। তবে এই প্রসঙ্গে রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিয়ুল বলেন, ‘আমি বিধায়ক। সকলের সামনে আমার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমি এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের যেভাবে চলতে বলেছেন আমি সেইভাবেই চলব।’ ওই ঘটনার পরই হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তার পরও তিনি যে বদলাননি, তার আরও উদাহরণ রয়েছে বলে দাবি স্থানীয় নেতৃত্বের।


আরও পড়ুন:কোচবিহারে যাত্রী বোঝাই সরকারি বাসে আগুন, আতঙ্কে হুড়মুড়িয়ে নামল যাত্রীরা