কলকাতা: মোমিনপুরে হিংসার (Mominpur Violence) ঘটনায় ৭ জন পলাতকের বিরুদ্ধে এবার হুলিয়া জারি করল NIA। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে এই ৭ জনের খোঁজ চলছে। পলাতকদের সন্ধান দিতে পারলে, একেক জনের মাথা পিছু ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
সূত্রের খবর, মোমিনপুর হিংসায় ৭ অভিযুক্তের খোঁজে ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে NIA। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, এই ৭ জন অন্য কোনও রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে অথবা বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতবছরের ৮ অক্টোবর, গোষ্ঠী সংঘর্ষে (Inner Clash) অশান্ত হয়ে ওঠে মোমিনপুর। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ (Kolkata police)।
মোমিনপুরে হিংসা
প্রসঙ্গত, পুজোর সময় কলকাতার মোমিনপুরে হিংসা ছড়িয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাল ঘাম ছুটেছিল পুলিশেরও। ৮ অক্টোবর রাত থেকে মোমিনপুর এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় তদন্তভার NIA নেবে কি না, তা কেন্দ্রের উপরেই ছেড়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। এর পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে তদন্তভার নেয় NIA। তার ২ মাস পর ৪০০ পাতার চার্জশিট পেশ করেছিল তারা। এনআইএ সূত্রে খবর এসছিল, চার্জশিটে ৭০ জন সাক্ষীর বয়ান রয়েছে।
তল্লাশি চালিয়েছিল NIA
মোমিনপুরকাণ্ডের তদন্তে বছরের শুরুতেই ১৭টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল এনআইএ। তল্লাশিতে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয় সেবার। তল্লাশি অভিযানের সময় গাড়ি আটকে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, তল্লাশি অভিযানের সময় একটি বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকেন এনআইএ অফিসাররা। এনআইএ-র গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। পরে একবালপুর থানা ও ওয়াটগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং এনআইএ-র গাড়ি সেখান থেকে বার করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন, '১ বার নয়, শক্তিগড়ে নেমে ৩ বার মুড়ি কিনেছিলেন লতিফের গাড়িচালক', দাবি প্রত্যক্ষদর্শীর
প্রসঙ্গত, রাজ্যে হিংসার ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। মোমিনপুরের পর ইতিমধ্য়েই তিলজলাকাণ্ড এবং তারপর হাওড়া ও হুগলির রিষড়ায় অশান্তির ঘটনায় এখন অতি সতর্ক প্রশাসন। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে বারবার অশান্তির ঘটনায় এবার হনুমান জয়ন্তীতে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি প্রশাসন। হাইকোর্টের নির্দেশে এবার ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।