কলকাতা: রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে মোট নির্বাচনী কেন্দ্র রয়েছে ৬১ হাজার ৬৩৬টি। সেখানে, রাজ্য পুলিশের কর্মী সংখ্যা ৮০ হাজার। এই অবস্থায়, প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কীভাবে রাজ্য় পুলিশ দিয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট সম্ভব?
রাজ্য় পুলিশ দিয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট?
রাজ্য পুলিশ? ভিন রাজ্য়ের পুলিশ? নাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী? কার নিরাপত্তায় হবে, পঞ্চায়েত ভোট? এই নিয়ে, প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। কারণ, এ রাজ্য়ে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা ও প্রশাসনিক পক্ষপাতের অভিযোগের ইতিহাসও দীর্ঘ। তাই বারবার একটাই দাবি ওঠে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট করানোর। কিন্তু, তা সত্ত্বেও, সদ্য় নিযুক্ত রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার এখনও অবধি কার্যত রাজ্য পুলিশেই আস্থা রাখছেন।
মারামারি, হানাহানি, থেকে রক্তারক্তি, ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের সময়ের হিংসাত্মক পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলে, হাইকোর্টে মামলা করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি। রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে, মোট নির্বাচনী কেন্দ্র রয়েছে ৬১ হাজার ৬৩৬টি। একেকটা নির্বাচনী কেন্দ্রে একাধিক বুথ থাকে। এর ফলে, প্রতি নির্বাচনী কেন্দ্র পিছু ২ জন নিরাপত্তারক্ষী দিতে হলেও, প্রয়োজন ১ লক্ষ ২৩ হাজার ২৭২ জন পুলিশ কর্মী। এছাড়াও, ভোটের দিন ও তার আগের নাকা তল্লাশি থেকে টহলদারি, রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে থাকা, কুইক রেসপন্স টিম, মোবাইল ফোর্স-সহ অতিরিক্ত বেশ কয়েক হাজার পুলিশ প্রয়োজন হয়। ফলে, এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট করার জন্য অন্তত দেড় লক্ষের বেশি পুলিশ লাগবে।
কিন্তু, রাজ্য়ের হাতে এত পুলিশ নেই। সূত্রের দাবি, রাজ্য পুলিশে ৮০ হাজার কর্মী রয়েছে। ফলে, এখানেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কীভাবে রাজ্য় পুলিশ দিয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট সম্ভব? ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের মতো কলকাতা পুলিশ থেকে বাহিনী নেওয়া হবে? ভিন রাজ্য় থেকে পুলিশ আনার জন্য় আবেদন করতে পারে রাজ্য় সরকার? না কি মীরা পাণ্ডের পথে হেঁটে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের মতো নির্বিঘ্নে ভোটের স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনাবে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন?
সূত্রের দাবি, শুক্রবার মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, রাজ্য পুলিশ দিয়েই হবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। পুরনো নিয়ম মেনেই করা হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যেহেতু, বুথের সংখ্যা বেড়েছে, তাই বাড়বে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা। প্রতি বুথে থাকবে, ২ জন করে সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ। লাইন ঠিক করার জন্য থাকবেন একজন করে লাঠিধারী পুলিশ। সেক্টর অফিসেও পর্যাপ্ত সংখ্যাক সশস্ত্র ও লাঠিধারী পুলিশ থাকবে। যেন নিরাপত্তার কোনও খামতি না থাকে, সেই জন্য একশো শতাংশ বুথই স্পর্শকাতর ধরে এগোচ্ছে কমিশন।
আরও পড়ুন: Diabetes in India: চোখ রাঙাচ্ছে ডায়াবেটিস! গোয়ায় সর্বোচ্চ, ICMR রিপোর্টে বাংলার ছবিটা কী?