অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: মা এবং দিদিকে খুনের (murder allegation) অভিযোগে বীরপারার (birpara bandapani tea garden) বান্দাপানি চা বাগানের গ্রেফতার (daily wage earner arrested) দিনমজুর। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
কী ঘটেছিল?
সূত্রের খবর, শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপারা থানার বান্দাপানি চা বাগানে। অভিযুক্তের নাম রামকিশোর সিংহ ছেত্রী। বয়স ৩৫ বছর। মা রুকমিন সিংহ ছেত্রীর সঙ্গেই থাকতেন তিনি। গত কাল তাঁর মাসতুতোত দিদি রীতা সিংহ সেখানে ঘুরতে এসেছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। রাতে এক সঙ্গে তিনজন খাওয়া দাওয়াও করেন তাঁরা। পড়শিদের দাবি, হঠাতই গভীর রাতে রামকিশোর সিংহ লোহার রড দিয়ে তাঁদের উপর এলোপাথারি আঘাত করতে শুরু করেন। ঘরের বিছানার উপরই দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে উঠে আসে। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। বীরপারা থানার পুলিশ রামকিশোর সিংহ ছেত্রীকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কেন এমন হল, কী থেকে এই এলোপাথারি আক্রমণ জানতে তদন্ত চালাচ্ছে তারা। আলিপুরদুয়ারের এই ঘটনা বাঁকুড়ার একটি স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে অনেককে।
ফিরে আসছে পুরনো ঘটনার স্মৃতি...
গত বছর জুলাই মাসে ছেলের বিরুদ্ধে মাকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল বাঁকুড়ায়। সে বারও গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। বাঁকুড়ার ছাতনা থানার চন্ডীদাস পল্লীর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। জানা যায়, বাড়িতে কেউ না থাকায় ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে, বাড়ির ভিতরে হাতুড়ি ও ছুরি দিয়ে মা বন্দনা মন্ডলকে নৃশংসভাবে হত্যা করে প্রাক্তন সেনা জওয়ান ছেলে সুমন্ত মন্ডল। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা জানালা ভেঙ্গে উদ্ধার করে মায়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ। বাড়ি থেকে অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করে ছাতনা থানার পুলিশ। পরে খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সমন্ত মন্ডলকে। মৃতার স্বামী স্বপন মন্ডলের অভিযোগ, ঘটনার দিন বিকেলে কিছু জিনিসপত্র কিনতে বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। রাত্রি ৮ টা নাগাদ বাড়ি ফিরে এসে দেখেন বাড়ির দরজা ও জানালা সমস্ত কিছু ভিতর থেকে বন্ধ। এরপরে স্থানীয় আত্মীয় ও পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা জানালে ভেঙ্গে বাড়ির ভিতর থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বন্দনা মন্ডলের। ছেলের ফাঁসির দাবি তোলেন বাবা স্বপন মন্ডল। পরিবার সুত্রে জানা গেছে সুমন্ত সি আই এস এফ কর্মরত ছিল গত ১ বছর। চাকরি থেকে ছেড়ে বাড়ি চলে আসে সে। তারপর থেকে বাড়িতেই থাকত। মাঝে মাঝে বাবা ও মায়ের উপর অত্যাচার চালাত বলেও জানা যায়। তবে খুনের সঠিক কারণ জানা যায়নি। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সুমন্ত কে। মানসিক অবসাদ থেকে খুনের ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।