কলকাতা: হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষের নানা উপকারে কাজে লাগছে অশ্বগন্ধা (Ashwagandha)। আয়ুর্বেদের এই উপাদানের উপকারিতা অনেক। নানা কাজে ব্যবহৃত হয় এটি। রোজকার তালিকায় রাখলে স্ট্রেস দূর করা থেকে ভালো ঘুম হওয়া এবং আরও অনেক উপকার করে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক অশ্বগন্ধার উপকারিতাগুলি (Ashwagandha Health Benefits)।


অশ্বগন্ধার উপকারিতা-


১. পুরুষদের জন্য অত্যন্ত উপকারী অশ্বগন্ধা। পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। তাঁদের ফার্টিলিটির মাত্রা বৃদ্ধি করে। কিন্তু এক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য খুব বেশি কাজে লাগে না এটি। পুরুষদের শুক্রাণুর মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয় প্রতিদিন তালিকায় অশ্বগন্ধা রাখলে। প্রতিদিন অশ্বগন্ধা খাওয়াও খুব সহজ। এর গুঁড়ো বাড়িতেই রাখতে পারেন। আর তা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে রাতে খেতে পারেন। তাহলেই উপকার পাবেন।


২. যাঁদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য দারুণ উপকারী অশ্বগন্ধা। নিয়মিত দুধের সঙ্গে অশ্বগন্ধার গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে ভালো ঘুম হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, টানা অন্তত ৮ সপ্তাহ খেলে তবেই তফাতটা বুঝতে পারবেন। অনিদ্রার সমস্যায় বিশেষজ্ঞরা অশ্বগন্ধা সেবনের পরামর্শ দিচ্ছেন।


৩. মস্তিষ্ক সচল রাখার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী অশ্বগন্ধা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। তার সঙ্গে বয়সকালে স্মৃতিভ্রংশের সমস্যাও দূর হয়।


আরও পড়ুন - Sore Throat: শীতকালে গলার ব্যথা দূর করার আয়ুর্বেদিক উপায়


৪. যাঁদের মধুমেহ রোগের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য উপকারী অশ্বগন্ধা। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। মধূমেহ দূরে রাখে এবং রক্তে শর্করা বাড়তে দেয় না। 


৫. স্ট্রেসের সমস্যা কমায় অশ্বগন্ধা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আজকের দিনে নানা কারণে স্ট্রেসের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। সেই স্ট্রেসের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত খাওয়া দরকার অশ্বগন্ধা। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। স্ট্রেস, অবসাদ, উদ্বেগের মতো মানসিক সমস্যা দূর করে।


এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, এর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসেবে অশ্বগন্ধা আরও নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই এর উপকারিতা অনেক। তাই সুস্থতার জন্য নিয়মিত অশ্বগন্ধা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।