কলকাতা : হাইকোর্ট থেকে ১ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস, ৩ জনের সাজা কমিয়ে মুক্তি। সিআইডি তদন্তে (CID Investigation) গাফিলতির অভিযোগে ফের গর্জে উঠল কামদুনি (Kamduni)। কলকাতা থেকে কামদুনিতে মিছিল। ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিলে কামদুনির প্রতিবাদীদের সঙ্গে পা মেলালেন বিশিষ্টরা। মিছিল থেকে ফের একবার গর্জে উঠলেন কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল। "পরিকল্পনামাফিক পুলিশের দ্বারাই আমাদের প্রধান সাক্ষীকে খুন করা হয়েছিল। তা না হলে আজ আমরা ঠিকঠাক বিচার পেতাম", বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তিনি।  


মৌসুমী বলেন, "হাইকোর্টে এসে এ ধরনের রায় আমরা মেনে নিতে পারছি না। এটা দেশবাসীর লজ্জা। সমস্ত নারীজাতির লজ্জা। সিআইডি-র গাফিলতি, পুলিশ প্রশাসনের গাফিলতি । তারা যে রিপোর্ট বানিয়েছে, তাদের ফরেন্সিক রিপোর্টের উপর নির্ভর করে, পুলিশ প্রশাসন, সিআইডি-র রিপোর্টের উপর নির্ভর করেই হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ী আমাদের রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার ১০ বছর আগে সচেতন হলে, রাজ্য সরকারের সিআইডি যদি ১০ বছর আগে আবার কামদুনি আসত, আমাদের সঙ্গে কথা বলত...। ৬২ জন সাক্ষী ছিল, কারও কোনও সাক্ষী ওরা নেয়নি। পরিকল্পনামাফিক পুলিশের দ্বারাই আমাদের প্রধান সাক্ষীকে খুন করা হয়েছিল। তা না হলে আজ আমরা ঠিকঠাক বিচার পেতাম। ৬২ জনের মধ্যে মাত্র ২ জনের সাক্ষী নিয়েছিল। বাকি সব সাক্ষী কোথায় গেল ? তখন সিআইডি ঘুমাচ্ছিল ? সিআইডি-র তখন মনে ছিল না যে, কামদুনির বিচার পাইয়ে দিতে হবে।" 


কামদুনির অপর এক প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল বলেন, সুবিচারের দাবিতে আজ আমরা পথে নেমেছি।  


এদিকে রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চার ডাকে আজ কামদুনিতে মিছিল হয়। তাতে যোগ দিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "মৌসুমী, টুম্পা বা বাকিদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়নি। নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে, কিন্তু যারা ধর্ষক তাদের বাড়ির সামনে পুলিশ পোস্টিং হয়েছে। তাদের বাড়ির সামনে পুলিশের মোতায়েন হয়েছে। যাতে তারা সুরক্ষিত থাকে। প্রমাণ হয়ে গেল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, তাঁর পুলিশ ধর্ষকদের সুরক্ষা দেয়। তাই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের এসএলপির উপর নির্ভর না করে, তাঁরা যদি সুপ্রিম কোর্টে যান, তাহলে BJP, বিরোধী দলনেতা...আমরা সর্বোচ্চ দুই ব্যারিস্টারের নাম আমাদের দিয়েছেন। আমরা তাঁদেরই ব্যবস্থা করেছি। আমরা নিশ্চিত উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে এই ধর্ষকরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। আমাদের যে বোনটিকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে, তাঁর আত্মা শান্তি পাবে।"