কলকাতা: বিজেপিতে-ই (BJP) আছেন মুকুল রায় (Mukul Roy), রায় দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)।দীর্ঘ শুনানির পরে ফের জানিয়ে দিলেন অধ্যক্ষ। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন খারিজ করলেন। মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার পর রায় পুনর্বিবেচনা করতে বলে হাইকোর্টের সুপারিশে ফের শুনানি হয়। তাতে দীর্ঘ শুনানির পরে মুকুলের বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন খারিজ হয়ে গেল। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনে বিধানসভায় ৫ দফায় শুনানি হয়েছে।


মুকুল বিজেপি-তেই রয়েছেন, জানিয়ে দিলেন স্পিকার


বুধবার বিধানসভায় বিমানের পক্ষেই এই মালার শুনানি হয়। সেখানে দুপক্ষের বক্তব্য শোনেন বিমান। শুভেন্দুর আইনজীবীরা জানান, মুকুল এই মুহূর্তে তৃণমূলে রয়েছেন। তাই দলত্যাগ আইনে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া দরকার। যদিও মুকুলের আইনজীবীরা জানান, তিনি তৃণমূলে যোগই দেননি। সেই নিয়ে পাঁচ দফায় শুনানির পর মুকুল বিজেপি-তেই রয়েছেন বলে জানিয়ে দেন বিমান। তিনি জানান, এখানে দলত্যাগের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের কোনও প্রশ্ন নেই। স্পিকারের এই রায়ের পর শুভেন্দু এবং বিজেপি ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কিনা দেখার।


আরও পড়ুন: BJP: 'রাজ্য কার্যনির্বাহী বৈঠকে ডাক পাননি,' দিলীপ ঘনিষ্ঠ রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগে অস্বস্তিতে বিজেপি


২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর গত বছর ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। মমতার উপস্থিতিতে অভিষেক তাঁকে গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন, এমন ছবি এবং ভিডিও-ও সামনে আসে। ওই মঞ্চে মুকুলপুত্র শুভ্রাংশুকও দেখা যায়। সেই সময়ই দলত্যাগ আইনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তোলে বিজেপি। এর পর বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয় মুকুলকে। সাধারণত বিরোধী শিবিরের নেতাকেই ওই পদে বসানো হয়। সরকার কোন খাতে কত টাকা খরচ করছে, এ সবের হিসেব রাখাই কাজ পিএসি চেয়ারম্যানের। 


মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন


তাই তৃণমূলে যোগদানকারী মুকুলকে কোন যুক্তিতে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হল, প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু এবং রাজ্য বিজেপি-র নেতৃত্ব। কিন্তু মুকুল তৃণমূলে রয়েছেন, এমন কোনও লিখিত নথি পেশ করতে না পারায়, তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন খারিজ করে দেন বিমান। এর পর সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টে ফেরত পাঠায়। তার পর হাইকোর্টের তরফে সুপারিশে মামলার শুনানিতে মুকুলের বিধায়ক পদ বহাল রাখারই সিদ্ধান্ত জানান বিমান। এ দিন আগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখলেন তিনি।