রঞ্জিত সাউ, বিধাননগর: সল্টলেক (Saltlake Fire) সেক্টর ফাইভে বহুতলে আগুন। রেশমি টাওয়ারের নিচের গোডাউনে আগুন। কাজের দিনে অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক সেক্টর ফাইভে। ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।
সেক্টর ফাইভে বহুতলে আগুন: বৃহস্পতিবার দুপুরে সেক্টর ফাইভের ওয়েবেল মোড়ের কাছে রেশমি টাওয়ারের নিচে দুটি গোডাউনে আগুন লাগে। গোডাউন দুটির ভেতর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। কর্মীরা খবর দেয় দমকলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। জানা গিয়েছে, গোডাউনের ভেতরে মূলত বৈদ্যুতিন জিনিস তৈরির সরঞ্জাম রাখা ছিল। দমকল কর্মীদের তৎপরতা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আশেপাশের অফিস থেকে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণ এলেও আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।
এর আগে বাঁশদ্রোণীতে এক বসতবাড়িতে আগুন (Bansdroni Fire Incident) লাগে। স্থানীয়দের দাবি, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে দমকলের দু'টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। তার আগে মহাষ্টমীর সন্ধেতেই শহরের ক্যানাল ইস্ট রোডে এক বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। ক্যানাল ইস্ট রোডের বাড়িতে ওই ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মোট ৬টি সিলিন্ডার ফাটার শব্দ শোনা যায়। যদিও কীভাবে আগুন লাগল তা বহুক্ষণ পর্যন্ত স্পষ্ট ছিল না। এদিক জনবসতি পূর্ণ এলাকা হওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায় দ্রুত। সে দিক থেকে দেখলে বাঁশদ্রোণীর আজকের ঘটনার সঙ্গে সেদিনের ঘটনার আপাত ভাবে কিছু মিল তো রয়েছেই। ক্যানাল ইস্ট রোডের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীরা ল্যাডার ব্যবহার করেন। পাশাপাশি স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সেখানে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। যদিও আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন।
অক্টোবর মাসেই হাওড়ার সাঁকরাইলের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ভোজ্য তেলের গুদামে আগুন লেগেছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরাই আগুন দেখেন। পরে ৫ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কারখানা থেকে বেরিয়ে আসছিল কুণ্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়া। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সাঁকরাইল থানা ও ডোমজুড় থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান, হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। এক এক করে ঘটনা স্থলে ১৬টা ইঞ্জিন পৌঁছয়। আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা কারখানা। বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বলে যায়। এর ফলে আরও ছড়িয়ে পড়ে আগুন। গরম তেল চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দমকলকর্মীদের আগুন নেভাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্ত শেষ করতে এবার সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন