গঙ্গাজলঘাটি (বাঁকুড়া):
বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় (bjp leader mysterious death) বাঁকুড়ার (bankura news) গঙ্গাজলঘাটির নিধিরামপুর গ্রামে নতুন করে উত্তেজনা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার (union minister subhash sarkar) ও বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ালেন পুলিশ আধিকারিক। পরে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ দেখালেন বিজেপি বিধায়করা। গত কাল, অর্থাৎ বুধবার বিজেপি নেতা শুভদীপ মিশ্রর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহের সঙ্গে দুটি হাত বাঁধা ছিল। বিজেপি ও মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ জানায়। তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে এদিন গ্রামে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। গ্রামে যান ছাতনার বিজেপি বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ও শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়িও। সেখানেই ডিএসপি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন উত্তম মিশ্রর সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি সাংসদ-বিধায়করা। এই নিয়ে পুলিশের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


কী অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্পষ্ট অভিযোগ, 'এখানে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।...গ্রামের লোকেরা যাদের অভিযুক্ত বলছে, তাদের সাধারণ মানুষের হাত থেকে নিয়ে কী ভাবে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিল?...গ্রামের লোকেরা অত্যন্ত সন্দিহান যে পুলিশ সঠিক তদন্ত করবে কিনা। তাই তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন।' বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির নিধিরামপুরে বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যু ঘিরে গত কাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। বাড়ির কাছে একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল বলে খবর। দেহের সঙ্গে বাঁধা ছিল হাত। মৃতের নাম শুভদীপ মিশ্র বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। পরিবারের তরফে প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ ছিল, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে বছর ২৫-এর শুভদীপকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দেহ উদ্ধারে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় বিজেপি নেতার প্রেমিকা, তাঁর স্বামী, দেওর-সহ ৩ জনকে আটক করে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ। যদিও শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির অভিযোগ করেন, বাড়ি এসে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। সেই ভয়েই গত এক সপ্তাহ বাড়ি ফেরেননি শুভদীপ। দলীয় যোগ অস্বীকার করে পারিবারিক অশান্তির জেরে এই ঘটনা বলে পাল্টা দাবি করেছিল তৃণমূল। এর আগেও রাজ্যের একাধিক বিরোধী নেতার খুনে নাম জড়ায় রাজ্যের শাসক দলের। তার মধ্যে অন্যতম ময়নার বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। পঞ্চায়েত ভোটপর্বে ওই নেতার রহস্যমৃত্যু ঘিরে তুমুল আলোড়ন হয়েছিল বঙ্গ-রাজনীতিতে।


 


আরও পড়ুন:মহুয়ার সমর্থনে এগিয়ে এলেন অভিষেক, প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ, সতীর্থের প্রশংসাও