সুদীপ চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ: বিদেশে তথ্য পাচারের (Confidential Information Smuggled) অভিযোগের তদন্ত করতে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এল মুম্বই এটিএস (Mumbai ATF Arrests 1 From Uttar Dinajpur)। দেশের গোপনীয় তথ্য পাচারের অভিযোগে সেখানকার এক জনকে গ্রেফতারও করেছে তারা। ধৃতের নাম মুক্তা মাহাতো বলে সূত্রের খবর। মুম্বই ডক ইয়ার্ডে কখন, কোন জাহাজ আসছে, সেই তথ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কালিয়াগঞ্জ থেকে গ্রেফতারির পর তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে গেল মুম্বই এটিএস। জেলা পুলিশের দাবি, আর্থিক প্রতারণা মামলায় মুক্তা মাহাতোকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিবারের দাবি, তিনি নির্দোষ। 


কী জানা গেল?
গত শুক্রবার ভোর রাতে গ্রেফতার করা হয় মুক্তা মাহাতোকে। ২৪ বছরের মুক্তাকে শনিবার রায়গঞ্জ সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। সেখান থেকে রিমান্ডে নিয়ে তাঁকে মুম্বইয়ের দিকে রওনা হয়েছে এটিএস। মঙ্গলবার ঠানের বিশের আদালতে তাঁকে তোলা হবে বলে খবর। মুক্তার বিরুদ্ধে 'দেশদ্রোহের' অভিযোগ আনা হয়েছে। মুম্বই এটিএসের এই গ্রেফতারি এমন সময়ে হল, যখন সংসদে হামলার তদন্তের সূত্রে দিল্লি পুলিশ কলকাতায়।
প্রসঙ্গত, সংসদে স্মোককাণ্ডের 'মাস্টারমাইন্ড' ললিত ঝা-এর সঙ্গে বং কানেকশন প্রকাশ্যে আসতে তৃণমূল-বিরোধিতার সুর চড়িয়েছে বিজেপি। তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের ছবি দেখিয়ে ইতিমধ্য়েই সরব রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তারা প্রশ্ন তুলেছেন ললিত ঝা কি তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় ঘনিষ্ঠ ? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার ললিত ঝাকে 'যুব তৃণমূলের পদাধিকারী' বলে দাবি করেছেন। এই ব্যাপারে দিল্লি পুলিশকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করেছেন বলেও দাবি করেন শুভেন্দু । ললিতের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠতা তুলে ধরতে একাধিক ছবি সামনে আনে বিজেপি। সবই সংসদের নিরাপত্তা ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর ছক, পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। ওদিকে, সংসদে তাণ্ডব কাণ্ডে ধৃত ললিত ঝা-কে জেরায় উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। হয় 'প্ল্যান এ' নয় 'প্ল্যান বি', রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে সংসদে তাণ্ডবে নেমেছিলেন স্মোক-কাণ্ডের হামলাকারীরা ! সংসদে অশান্তির ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা-কে জেরায় এমনই বিস্ফোরক তথ্য মিলেছে বলে দাবি করে পুলিশ।


৬ রাজ্যে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল...
বস্তুত, স্মোক-কাণ্ডে ৬ রাজ্যজুড়ে তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। রাজস্থান, হরিয়ানা, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, বাংলা ও মহারাষ্ট্রে তদন্ত করছেন তাঁরা। এছাড়া তদন্তে আরও ৫০টি দল গড়া হয়েছে। আলাদা আলাদাভাবে অভিযুক্তদের ব্যাঙ্কের নথি পরীক্ষার কাজ চলছে। অভিযুক্ত নীলমের হরিয়ানার জিন্দের বাড়ি থেকে পুরনো ডায়েরি ও কিছু বই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জিন্দে নীলমের বাড়িতে হানা দিয়েছিল স্পেশাল সেলের ৮ জনের বিশেষ টিম।


আরও পড়ুন:'আমি ভাগ্যবান, আমি এখন সাংসদ নই', কেন বললেন মমতা?