পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া-  পুরসভার (Municipal Election) ভোট প্রচারের ময়দানে সকাল সকাল কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন শাসক থেকে বিরোধী প্রত্যেকেই। করোনা পরিস্থিতিতে সারা রাজ্যে রেড ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেছে বামদলের যুবকর্মীরা। বাঁকুড়া জেলাতেও করোনা মোকাবিলায় বামেদের যুব সম্প্রদায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রেড ভলান্টিয়ার হিসেবে। সেই রেড ভলোন্টিয়ারের (Red Volunteer) পোশাক পরেই মানুষের কাছে ভোট প্রচারে পৌঁছে গেলেন বাঁকুড়া পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের সিপিআই(এম) প্রার্থী গনেশ মালাকার (CPM Candidate)। বুধবার সকালে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন বস্তী এলাকায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে জোরদার প্রচার সারলেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে রেড ভলান্টিয়ার হিসেবে যেভাবে মানুষের পাশে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা, ঠিক সেভাবেই ওয়ার্ডবাসীর পাশে থাকার বার্তাও দিতে দেখা গেল প্রার্থীকে। এদিন দলীয় কর্মীদের নিয়ে ১৫ নং ওয়ার্ডের বস্তী এলাকায় ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিলি করে ভোট দেওয়ার আবেদন করলেন সিপি আই এম প্রার্থী। 
এক দিকে রাজ্য সরকারের  উন্নয়ন সহ বিভিন্ন প্রকল্পকে হাতিয়ার করে ভোট প্রচারে সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়েন বাঁকুড়া পৌরসভার ১০ নাম্বার ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শম্পা দরিপা। এদিন শহরের স্কুলডাঙ্গা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন তিনি।সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে রাজ্য সরকারের লক্ষী ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, বিধবা ভাতা,সহ সমস্ত সুবিধাজনক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন তিনি।


এদিকে, পুরভোটে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করে নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোয় মেদিনীপুরে ৫ নেতা-নেত্রীকে শোকজ করল বিজেপি। একই ইস্যুতে একাধিক নেতা-নেত্রীকে বহিষ্কারের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ২৭ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুর ও খড়গপুরে পুরভোট। দুটি পুরসভাতেই তৃণমূল ও বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রী টিকিট না পেয়ে সরাসরি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধেই চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুরে ৩ ও খড়গপুরে ২ জন নেতা-নেত্রীকে শোকজ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে, শোকজের রাস্তায় না হেঁটে বিক্ষুব্ধদের সরাসরি দল বহিষ্কার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল। দু’ দলেরই কোনও শৃঙ্খলা নেই, বিজেপি ও তৃণমূলকে খোঁচা কংগ্রেসের।