জয়ন্ত পাল, কলকাতা : ঢাক বাজিয়ে, রণ-পা নিয়ে মিছিল! তৃণমূল প্রার্থীকে ঘিরে রয়েছেন বেশ কয়েকজন কর্মী, সমর্থক। প্রার্থীর মুখে মাস্ক থাকলেও, তাঁর সঙ্গীদের কারও মাস্ক নাকের নীচে, কারও আবার থুতনির নীচে।
সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়তে থাকায় বিধিনিষেধ আরও কড়া হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পুরভোটের প্রচারে প্রার্থী-সহ থাকবেন পাঁচজন।
রোড শো, মিছিলে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। জোর দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল প্রচারে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, বিধাননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অল-গলি চষে বেড়ালেন তৃণমূল প্রার্থী।
আর এই নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে মুখে পড়েছে শাসক দল।
বিধাননগর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী, পুরসভার সমীর রায়ের অভিযোগ, 'তৃণমূলের মিটিং মিছিলে ঢাক, ঢোল বেরোচ্ছে। ওরাই সব নিয়ম ভাঙছ। কমিশন কিছু দেখছে না।
আরও পড়ুন :
দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লক্ষ ছুঁইছুঁই, আজ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর
তৃণমূল প্রার্থী আশুতোষ নন্দী বলেন, ' আমরা কয়েকজনকে নিয়ে প্রচার করছি। ঢাক তো শুভ জিনিস। এঁদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। পাঁচ-সাতজনের বেশি নেই। মানুষকে ঢাক বাজিয়ে সচেতন করছি।'
১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচারেও ছিলেন পাঁচের বেশি কর্মী, সমর্থক। প্রার্থী অবশ্য বললেন, ' গাইডলাইনের বাইরে আমরা কোনও লোক নিয়ে বেরোচ্ছি না। তৃণমূলের মিটিং মিছিলে ঢাক, ঢোল বেরোচ্ছে।'
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিধি ভঙ্গের অভিযোগে ৪ পুর এলাকা ৩ প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফের প্রচারে বিধি ভাঙার অভিযোগ উঠেছে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে বড়তোড়িয়ায় চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন তিনি। প্রচারে ভিড় হলেও দিলীপের দাবি, তাঁরা ৫ জনই এসেছেন। বাড়তি লোক এসেছে রাস্তায়। যদিও এ নিয়ে দিলীপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ' পয়সা দিয়ে লোক এনে এখন যদি তাদের মেরে ফেলতে চায়, আমাদের কিছু বলার নেই। সব দয়িত্ব তো শুধু সরকারের নয়। দায়িত্ব্ববান রাজনীতিক হিসেবে দিলীপদারও দায়িত্ব আছে। '