কলকাতা: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি অভিযান ED-র। একযোগে ৬টি জায়গায় তল্লাশি ED-র। মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেকের অফিসেও হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। নাগেরবাজার, লেক টাউন, সল্টলেকে একযোগে তল্লাশি। অডিটর সঞ্জয় পোদ্দারের কাঁকুড়গাছির ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, 'রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু হবে..' ! শর্ত-সময় বেঁধে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

Continues below advertisement

এদিন সুজিত বসু বলেন, ওরা প্রত্যেকবারই এটা করে। ইলেকশন যখন আসে, তখন বিশেষ করে, যারা পার্টিতে অ্যাকটিভলি কাজ করে, তাঁদের বাড়ি-অফিস এসব জায়গায় যায়। আজকে আমার অফিসে গিয়েছে। রেস্টুরেন্টে গিয়েছে। তা গেছে ওরা, ওদের কাজ করছে, করুক। কী বলা যাবে আর ওদেকে !  

প্রশ্ন : জানা যাচ্ছে যে, দক্ষিণ দমদম পৌরসভায় নিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই নিয়েই তল্লাশি..

মন্ত্রী সুজিত বসু : সেই নিয়েই তো আগেও তল্লাশি হয়েছে। আমাদের বাড়িতে এসেছে। কিছু তো পাইনি ওরা। আবার ইডি আসছে। আমার মনে হয়, টার্গেট করছে, এই জায়গাটা বিশেষ করে। এই জায়গায় ওদের লোকজন কিছু নেই। রাজনৈতিকভাবে এটা আক্রমণ হচ্ছে। কেন এটা হচ্ছে, সেটা বুঝতে পারছি আমি। ঠিক আছে ওদের কাজ ওরা করুক। 

এর আগে ২০২৪-এর ১২ জানুয়ারি দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে অভিযান চালায় ED. প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে মন্ত্রীর একাধিক বাড়িতে চলে তল্লাশি মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য়দেরও করা হয় জিজ্ঞাসাবাদ। 'সুজিত বসু যে সময়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। সেইসময় পুরসভায় নিয়োগের সব বরাত পেত অয়ন শীলের সংস্থা ABS ইনফোজোন'। নিয়োগ দুর্নীতিতে উদ্ধার নথি, ডিজিটাল এভিডেন্সকে সামনে রেখে মন্ত্রীকে করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদ। অয়ন শীল, নিতাই দত্তের দেওয়া বয়ানকে সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সুজিত বসুকে।

এর আগে দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপ পুরপ্রধান নিতাই দত্তর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ২০২৩-এর ৫ অক্টোবর চালানো হয় তল্লাশি। সূত্রের দাবি, তল্লাশিতে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত ৭ পাতার নথি উদ্ধার হয়। তল্লাশিতে উদ্ধার হয় পুরসভার অ্য়াপয়েন্টমেন্ট লেটার। নিতাই দত্তকে CGO কমপ্লেক্সে ডেকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। সুজিত বসু যখন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান  ছিলেন, তখন নিতাই দত্ত বকলমে ছিলেন তাঁর সেক্রেটারি। ED সূত্রে দাবি, নিতাই দত্তর সূত্র ধরে পুর নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় নাম উঠে আসে মন্ত্রী সুজিত বসুর।