রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাল তৃণমূল (TMC)। কংগ্রেস (Congress) ও সিপিএম (CPIM) ছেড়ে শাসক শিবিরে যোগ দিলেন জয়ী ৫ পঞ্চায়েত সদস্য। ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে দলবদল করিয়েছে তৃণমূল, অভিযোগ বিরোধীদের। উন্নয়নে সামিল হতেই জোড়াফুল শিবিরে যোগদান, দাবি সামশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়কের।
পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার আড়াই সপ্তাহের মধ্যে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে বিরোধী শিবিরে ভাঙন! তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেস ও সিপিএমের টিকিটে জয়ী ৫ সদস্য। ফলে সামশের গঞ্জে জমি আরও শক্ত হল তৃণমূলের। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত, শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদেই ১৪ জনের প্রাণ গেছে।
বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগে আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। অথচ ভোট মিটতেই দেখা গেল, বিরোধী শিবির থেকে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক। সামশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে শাসক শিবিরে যোগ দিলেন প্রতাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ কংগ্রেস সদস্য ও একজন সিপিএম সদস্য। ভাসাই পাইকর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সদস্যও যোগ দিলেন তৃণমূলে।
তৃণমূলে যোগদানকারী ও জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী গোকুলকুমার দাস বলেন, 'তৃণমূলে টিকিট না পাওয়ায় কংগ্রেস থেকে টিকিট নিয়েছিলাম। ভোটের আগেই বলেছিলাম, জিততে পারলে তৃণমূলে যোগ দেব। কোনও চাপসৃষ্টি করা হয়নি। স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।'
আরও পড়ুন, কলকাতা থেকে জেলা, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, তথ্য গোপনের অভিযোগ সুকান্তর
এ প্রসঙ্গে সামশেরগঞ্জ ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি ইমাম হোসেন বলেন, 'নমিনেশন থেকে ভোট চলাকালীন তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়েছে। বিরোধী দলগুলিতে যে ভাঙন হচ্ছে সেসব প্রশাসন ও শাসকদলের অত্যাচারে হচ্ছে। কংগ্রেসের উত্থান দমাতেই চাপ দিয়ে দলবদল।'
অভিযোগ উড়িয়ে বিধায়কের দাবি, উন্নয়নে সামিল হতেই এই যোগদান। সামশেরগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, 'প্রতাপগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতে থেকে ৪ জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দিলেন। ৩ জন কংগ্রেস দল থেকে আর একজন সিপিএম থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবং ভাসাইপাইপোর গ্রামপঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থীও তৃণমূলে যোগ দিলেন। মোট ৫ জন যোগ দিলেন। নির্বাচন চলাকালীনই তাঁরা আবেদন করেছিলেন, নির্বাচিত হলে তৃণমূলে যোগ দেব।'
তবে কারণ যাই হোক, একদলের টিকিটে জিতে আরেক দলে ভিড়ে যাওয়ার যে ট্র্যাডিশন সমানে চলছে বাংলায়।