রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: বাড়ি থেকে বাইকে করে জাতীয় সড়ক (34 No National Highway) দিয়ে কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় (Raod Accident) মৃত্যু হয়েছে এক ছাত্রের (Student)। বৃহস্পতিবার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ থানার (Samserjganj Police Station, Murshidabad) নতুন ডাকবাংলা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ।


পুলিশ জানিয়েছে, বছর একুশের ওই মৃত  ছাত্রের নাম মোহাম্মদ কাইফ। তাঁর বাড়ি ফরাক্কা থানার খোদাবন্দপুর এলাকায়। দুর্ঘটনা ঘিরে ৩৪ নং জাতীয় সড়কে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সামসেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুর্ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। যদিও পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে পুলিশ।


এমনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ২০২২ সাল। পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক উচ্চ মাধ্যমিক (HS) পরীক্ষার্থীর। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল অপর এক ছাত্র। মহেশতলা (Maheshtala) ডাকঘরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। মৃত ছাত্রের নাম সায়েদ হালদার। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর এহেন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। মহেশতলা থানার পুলিশ লরিটিকে আটক করেছিল। এর পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইকটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছিল।


পুলিশ সূত্রের খবর, মহেশতলা হাই স্কুলের দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষার শেষে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল। দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ ডাকঘরের কাছে একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁদের বাইকের। দুই জনেই ছিটকে গিয়ে রাস্তার পাশের নর্দমায় পড়ে। দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন সায়েদ হালদার। সে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। অপর আর এক ছাত্র সৈয়দ ইরফান আলির ডান পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। দুই জনকেই মহেশতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সায়েদকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।  


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


তবে চলতি বছরে সড় দুর্ঘটনা না হলেও হাতির হানায় প্রাণ হারায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসাই হয়নি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে, হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল ওই ছাত্রের। রাজগঞ্জের পাঁচিরাম নাহাটা। স্কুলের ছাত্র অর্জুন দাসের সিট পড়েছিল বেলাকোবা কেবলপাড়া হাইস্কুলে। সময় বাঁচাতে ফরেস্ট রোড ধরে মোটরবাইকে যাচ্ছিল বাবা ও ছেলে। কুয়াশার কারণে হাতির সামনে পড়ে যায় তারা। বাবা প্রাণে বাঁচলেও ছেলেকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছড়ে মারে দাঁতাল। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় রেঞ্জারদের সতর্ক থাকতে বলার পাশাপাশি, জলপাইগুড়ির জেলাশাসক ও গৌতম দেবকে মৃত পরীক্ষার্থীর বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।