রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: আধার কার্ডে সংশোধন করা নিয়ে, চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা বহরমপুর পোস্ট অফিসে। পরিস্থিতি সামাল দিল বিশাল পুলিশবাহিনী। সব পোস্ট অফিসেই আধার কার্ডের সংশোধন করা হচ্ছে। না জানার কারণেই এক জায়গায় সবাই ভিড় করেছেন বলে দাবি করলেন পোস্ট মাস্টার।


লাইনে তিল ধরানোর জায়গা নেই। তার মধ্যেই ঠেলাঠেলি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। আধার কার্ড সংশোধন করাতে চরম বিশৃঙ্খলার ছবি ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর পোস্ট অফিসে। গ্রাহকদের অনেকের দাবি, আধার কার্ড সংশোধনের কাজ হবে জানতে পেরেই মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। বুধবার সকালে পোস্ট অফিস থেকে সেই লাইন চলে যায় প্রায় ২০০ মিটার। 


টেক্সটাইল মোড় ছাড়িয়ে লাইন পৌঁছে যায় গির্জার মোড় পর্যন্ত। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই ছিল না কোথাও। অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক। পোস্ট অফিস খোলার পর শুরু হয় কুপন বিলি। তারপরই লেগে যায় হুড়োহুড়ি, ঠেলাঠেলি। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় তাদের। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে মাইকে ঘোষণা করেন বহরমপুর থানার আইসি। 


বহরমপুর পোস্টঅফিসের পোস্টমাস্টার চন্দনকুমার পাল জানিয়েছেন, জেলার সমস্ত পোস্ট অফিসে আধারের কাজ হচ্ছে, না জেনেই সবাই চলে এসেছেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 


সম্প্রতি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাটে ভ্যাকসিনের (Vaccine) লাইনে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। বিডিও ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শোকজ করা হয়। ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক বিবেক বাসমে ও পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা যায়, ৫০০ জনের টিকাকরণের কথা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে স্কুল কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানানো হয়নি। সেই কারণেই গেট খুলতে দেরি হয়। গেট খোলার পর হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হন ১৯ জন।


 এই ঘটনায় বানারহাটের বিডিও প্রহ্লাদ বিশ্বাস ও ধূপগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ ঘোষকে শোকজ করেন জেলাশাসক। এনিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। রাজ্য প্রশাসনের গাফিলতিতেই এই ঘটনা বলে দাবি করেন বিজেপি সাংসদ। গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। 


ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে দৌড়। আর দৌড়াতে গিয়ে কারও ফাটল মাথা, কেউ পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হলেন, কারোর আবার চোট লাগল। ভ্যাকসিন সেন্টারে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার ছবি প্রকাশ্যে আসে জলপাইগুড়িতে। আর এই ভ্যাকসিন নিতে গিয়েই ১৯ জন পদপিষ্ট হন। বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আহতদের। সাতজনের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই রাতে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় জলপাইগুড়ি জেলা সুপার স্পেশালিটি  হাসপাতালে।


আরও পড়ুন: আশ্বাসই সার, শিলিগুড়িতে চালু হয়নি মোবাইল ভ্যাকসিন পরিষেবা, দুর্ভোগ অব্যাহত