সনৎ ঝা, দার্জিলিং: মন্ত্রীর ঘোষণার তিন সপ্তাহ পরও, শিলিগুড়িতে চালু হয়নি মোবাইল ভ্যাকসিন পরিষেবা। ফলে অনেক বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ ভ্যাকসিন দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
বাড়ির অসুস্থ ও বয়স্কদের জন্য চালু হবে মোবাইল ভ্যাকসিন পরিষেবা। গত ২৮ অগাস্ট শিলিগুড়িতে গিয়ে এই ঘোষণা করেছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আশ্বাস দিয়েছিলেন এক সপ্তাহের মধ্যেই চালু হবে পরিষেবা। কিন্তু মন্ত্রীর ঘোষণার পর তিন সপ্তাহ পরেও শিলিগুড়িতে চালু হয়নি মোবাইল ভ্যাকসিন পরিষেবা। ফলে ভ্যাকসিন ক্যাম্পগুলিতে সেই চেনা ভিড়।
ভ্যাকসিন নিতে আসা অনেকেরই অভিযোগ, মোবাইল ক্যাম্প চালু না হওয়ায় ভ্যাকসিন নিতে পারছেন না বাড়ির অসুস্থ মানুষ ও বয়স্করা। যাঁরা ভ্যাকসিন নিতে ক্যাম্পে আসছেন, তাঁরাও দিনে দিনে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না। প্রথমে টোকেন নিতে হচ্ছে। তারপর অন্যদিন যেতে হচ্ছে ভ্যাকসিন নিতে।
কিন্তু মন্ত্রীর ঘোষণার এতদিন পরও, মোবাইল ভ্যাকসিন পরিষেবা চালু না হয় শুরু হয়ে গেছে রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ি। শিলিগুড়ি পুরসভার সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী আসবেন বলে এভাবেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে আসলে চমক তৈরী করা হয়। এর ফলে মানুষকে প্রতারিত করা হয়।
শিলিগুড়ি পুরসভা তৃণমূল নেতা ও প্রশাসক গৌতম দেব বলেছেন, মোবাইল ভ্যাকসিন ক্যাম্প চালু হবে। কবে হবে জানা নেই। কবে মোবাইল ভ্যাকসিন পরিষেবা চালু হবে? কবে অসুস্থ ও বয়স্করা, বাড়ির কাছেই ভ্যাকসিন পাবেন? তারই অপেক্ষায় শিলিগুড়িবাসী।
উল্লেখ্য, রানাঘাট পৌরসভা এলাকায় কাল থেকেই শুরু হয়েছে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) দেওয়ার কাজ। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ' ভ্যাকসিন দিচ্ছে কেন্দ্র অথচ ক্রেডিট নিচ্ছে রাজ্য সরকার ', কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।
সম্প্রতি রানাঘাট (ranaghat)পৌরসভা এলাকায় মেগা ভ্যাকসিন কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। এর পর নতুন করে সোমবার অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর থেকে রানাঘাট পৌরসভা এলাকার কুড়িটি ওয়ার্ডে চালু হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি। চলবে ২৩ তারিখ পর্যন্ত। চারটি টোটো গাড়িতে ফ্লেক্স দিয়ে সাজিয়ে ' বাড়িতে ভ্যাকসিন ' নাম দিয়ে পৌরসভার একজন স্বাস্থ্যকর্মী ও একজন নাম নথিভুক্ত করার পৌরকর্মীকে নিয়ে টোটো গাড়ি রানাঘাট পৌরসভার কুড়িটি ওয়ার্ডে ঘুরছে। এরপর মুমূর্ষু ও শয্যাশায়ী নাগরিকদের জন্য পৌঁছে যাচ্ছেন। তাঁদের সহযোগিতা করছেন সেই সমস্ত ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলররা।
আরও পড়ুন: ঠেলাঠেলি, ধস্তাধস্তি! আধার কার্ড সংশোধনে বিশৃঙ্খলা বহরমপুর পোস্ট অফিসে