রাজীব চৌধুরী, কান্দি: বাড়িতে টিউশন (Home Tutor) পড়াতে এসে ছাত্রীকে ধর্ষণ। অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর উপর নির্যাতন (Physical Assault) প্রায় তিন বছর পর দোষী সাব্যস্ত হয়ে শাস্তি পেলেন বাড়িতে পড়াতে আসা গৃহশিক্ষক (Imprisonment)। দীর্ঘ সওয়াল-জবাব পর্ব কাটিয়ে তাঁকে কারাবাসারে সাজা শোনাল আদালত। যৌন নির্যাতন থেকে শিশুর সুরক্ষা আইনে ২০ বছরের সাজা শোনানো হল তাঁকে (POCSO)। 


অভিযোগ দায়েরের প্রায় তিন বছর পর সাজা দোষী সাব্যস্তকে


মুর্শিদাবাদের (Murshidabad News) কান্দির (Kandi News) হাজারপাড়া নবগ্রাম এলেকার ঘটনা। দোষী সাব্যস্ত গৃহশিক্ষক নির্যাতিতাকে পড়াতে আসতেন বাড়িতে। সেই সময়ই অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে তিনি যৌন নিগ্রহ করতেন বলে অভিযোগ ছিল। এমনকি ভিডিও দেখিয়ে নাবালিকা ছাত্রীকে ওই গৃহ শিক্ষক ধর্ষণও করেন বলে অভিযোগ জানান নির্যাতিতার পরিবার। 


সেই ঘটনায় ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি কান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। তিনি জানান, বাড়িতে মেয়েকে পড়াতে আসতেন ওই গৃহশিক্ষক। সেই সময় অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে মেয়েকে উত্যক্ত করতেন। এমনকি ব্ল্যাকমেলও করতেন তিনি। গৃহশিক্ষক মেয়েকে ধর্ষণও করেন বলে পুলিশকে জানান নির্যাতিতার মা।


আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: ৮৩-তে কথা পাকা করে ধরান মাত্র ৭ লক্ষ, আসল বিজেতার কাছ থেকে টিকিট বাগিয়ে নেন অনুব্রত!


সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিকে ওই গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই থেকে মামলা চলছিল। আদালতে চলছিল শুনানি, সওয়াল-জবাব। মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। শেষমেশ চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর কান্দি স্পেশাল কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হন ওই গৃহশিক্ষক। বিচারক সোমা দাস তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। 


পকসো আইনে ২০ বছরের সাজা গৃহশিক্ষকের


এর পর, বৃহস্পতিবার কান্দি মহকুমা আদালতের স্পেশাল কোর্ট পকসো আইনে ওই গৃহশিক্ষককে সাজা শোনাল। তাঁকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।  জরিমানা করা  হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। জরিমানার টাকা না দিতে পারলে আরও চার বছর বাড়বে কারাদণ্ডের মেয়াদ। দোষী সাব্যস্ত গৃহশিক্ষকের সাজায় বহু দিন পর স্বস্তি পেল নির্যাতিতার পরিবার। 


কলকাতায় বিহারের তরুণীর দেহ উদ্ধার


সম্প্রতি কলকাতার এন্টালিতে এক তরুণীকে গলার নলি কেটে হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। আদতে বিহারের বাসিন্দা ওই তরুণী। শিয়ালদা স্টেশন সংলগ্ন রেলের একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে তাঁর গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। চিকিৎসা করাতে এসে খুন হন। চিত্তরঞ্জন কুমার নামে মৃত তরুণীর এক  আত্মীয়ের অভিযোগ, ঘটনায় হাত রয়েছে ৩ পরিচিত ব্যক্তির। কিন্তু কী কারণে এই খুন? তদন্তে এন্টালি থানা ও লালবাজারের হোমিসাইড শাখার পুলিশ। ৩ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।