অনির্বাণ বাগচী ও রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: লালগোলায় টাকা দিয়ে চাকরি না পাওয়ার অভিযোগে যুবকের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত (Lalgola News)। ধৃতের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে (Murshidabad News)। এই নিয়ে চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ (Alleged Suicide)।


প্রাথমিকে চাকরি করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ


উৎসবের আলোয় যখন ভাসছে গোটা বাংলা, বেকারত্বের আঁধার নিয়েই পথে বসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ৫৯০ দিনে পড়ল কলকাতায় এসএসসি আন্দোলনকারীদের ধর্না। নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে পথই ঘর হয়েছে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদেরও।


আর সেই আবহেই গত মাসে টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় জীবনের পথে দাঁড়ি টেনে দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের লালগোলার এক যুবক! সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এবার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। 


আরও পড়ুন: SSC: ধর্নার ৫৯০ দিন, হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলনে অনড় SSC-র চাকরিপ্রার্থীরা


অভিযোগ, প্রাথমিকে চাকরির টোপ দিয়ে আব্দুর রহমানের থেকে ধাপে ধাপে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন কান্দির বাসিন্দা দিবাকর কোনাই। টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর, আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ওই যুবক। বাড়ির কাছ থেকে উদ্ধার হয় আব্দুর রহমানের দেহ। মৃতের ঘর থেকে মেলে সুইসাইড নোট।


তদন্তে নেমে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রেহেসান শেখ নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে লালগোলা থানার পুলিশ। ১৯ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় প্রজানন সরকার নামে আরও এক অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল অভিযুক্ত দিবাকর কোনাইয়ের হদিশ পাওয়া যায়। 


টাকা দিয়ে চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করেন যুবক


দেহ উদ্ধারের প্রায় ১ মাসের মাথায় কালীপুজোর দিন তারাপীঠের হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত দিবাকর কোনাইকে। লালবাগ মহকুমার অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটার অরুণ পাইক বলেন, "যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে ৩০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।"


ধৃতকে লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে গোটা ধৃতকে হাতে পেতে এক মাস সময় লাগল কেন, প্রশ্নও উঠছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, শুরু থেকেই ধৃতের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। শেষ মেশ রেহেসান এবং প্রজাননকে চেপে ধরা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই শেষমেশ হদিশ মেলে দিবাকরের।