কলকাতা: দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোও কেটেছে রাস্তায় বসে। মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনে ৫৯০ দিনে পড়ল SSC চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না। উত্সবের মরশুমেও ওঁদের জীবনে শুধুই অন্ধকার। পরিবার-পরিজন ছেড়ে পথের ধারেই কাটছে দিন। তবুও হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলনে অনড় SSC চাকরিপ্রার্থীরা। এবার পুজোয় রাজ্যবাসীর মনে কাঁটার মতো বিঁধেছে চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় বসে আন্দোলন। এই সমস্যার সমাধান না হলে মানুষের মনে শান্তি আসবে না। মন্তব্য দিলীপ ঘোষের।
দুর্গাপুজো কেটেছে রাস্তায় বসে। কালীপুজোয় গোটা শহর আলোর উত্সবে মাতলেও, অন্ধকারেই রইলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এবার আসছে ভাইফোঁটা। কান্নায় ভেঙে পড়ে SLST-র নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীরা জানালেন, ভাইফোঁটাও তাঁদের কাটবে রাস্তাতেই। মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনে নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান মঙ্গলবার ৫৯০ দিন পড়ল। ভাইফোঁটার আগেও সেই অন্ধকারেই চাকরিপ্রার্থীরা।
নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের এই অবস্থান আন্দোলনের জল গড়িয়েছে রাজনীতির আঙিনাতেও। SSC-কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী। চাকরিপ্রার্থীরা একের পর এক বৈঠক করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের নিয়োগের দাবির সুরাহা হয়নি। আলোর উত্সবের শহরে পরিবার ছেড়ে ম্লান মুখে রাজপথের এককোণে বসে রয়েছেন তাঁরা।
তবে একদিকে যখন অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। অন্যদিকে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে প্রিয়ঙ্কা সাউকে (Priyanka Sau) চাকরির সুপারিশ পত্র দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১ মাসের মধ্যে প্রিয়ঙ্কাকে নিয়োগ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগপত্র হাতে পেলে বাঘাযতীন বালিকা বিদ্যালয়ে ইংরেজির শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেবেন, জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।
মামলাকারী চাকরিপ্রার্থী প্রিয়ঙ্কা সাউ বলেন, “গত ২০ তারিখে আমি রেকমেন্ডেশন পেয়েছি। এবং আমাকে ৪টি স্কুলের অপশন দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা ডিস্ট্রিক্টের মধ্যে। কোর্টের অর্ডার ছিল, সেই অর্ডার অনুযায়ী। তো সেখানে আমি বাঘাযতীন বালিকা বিদ্যালয়টা চুজ করেছি, জয়েন করার জন্য। ইলেভেন-টুয়েলভের ইংরেজির শিক্ষিকা হিসেবে। আমি ওখানেই জয়েন করব। গার্লস স্কুল। সেটার রেকমেন্ডেশন লেটারটা পেয়েছি, তবে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটারটা যেটা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে ইস্যু হবে ৩ তারিখের পর সম্ভবত ওনারা অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটারটা দেবেন। এবং তারপর আমি স্কুলে গিয়ে জয়েন করব।’’