রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: বছর শেষের মাসে ফের প্রকাশ্যে মর্মান্তিক খবর। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) আহিরন ব্রিজে মালগাড়ির ধাক্কায় ৩ পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে (Student Death)। রেলব্রিজের উপর রিল বানাতে গিয়ে মালগাড়ির ধাক্কা লাগে, বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে নবম শ্রেণির ৩ পড়ুয়ার। আহত আরও ২ জন। মৃতদের নাম আমাউল শেখ, সামিউল শেখ ও রিয়াজ শেখ। 


মূলত বুধবার দুপুরে সুতির আহিরণ ব্রিজের উপর ভিডিও রিল বানাতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি (Murshidabad Accident)। জানা গিয়েছে, সুতির সাহা পাড়ার বাসিন্দা ৫ বন্ধু এদিন আহিরন ব্রিজে ঘুরতে এসেছিল। ব্রিজের উপর রেল লাইনে ভিডিও রিল করার সময় আচমকাই লাইনে সামনে চলে আসে মালগাড়ি। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই মালগাড়িতে ধাক্কা লাগে তাঁদের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নবম শ্রেনীর আমাউল শেখ,সামিউল শেখ ও রিয়াজ শেখের। এই ঘটনায় আহত হয় বাকি দুজন।  তাঁদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এদিন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।


প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল বাঁকুড়ায়। চলন্ত নাগরদোলায় সেলফি তুলতে গিয়ে বেয়ারিংয়ে চুল আটকে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল তরুণীর।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে বাঁকুড়া শহর লাগোয়া এক্তেশ্বরে শুরু হওয়া গাজন মেলায় এসে নাগরদোলায় চড়েছিলেন ভাদুল গ্রামের বছর কুড়ির তরুণী প্রিয়াঙ্কা। চলন্ত নাগরদোলায় উঠে  প্রিয়াঙ্কা মোবাইলে সেলফি নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে জানিয়েছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।


আরও পড়ুন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় ইস্যু নিয়ে বড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর


স্থানীয়দের দাবি ছিল, এই সময় কোনও ভাবে ওই তরুণীর খোলা চুল নাগরদোলার পিলার ও বেয়ারিংয়ে জড়িয়ে যায়। এর জেরে নিজের আসন থেকে ছিটকে যান ওই তরুণী। কিন্তু তার পরও বেয়ারিংয়ে আটকে থাকা চুলের সাহায্যেই তরুণীর দেহ ঝুলতে থাকে। অল্পক্ষণ এ ভাবে ঝুলে থাকার পর বেয়ারিংয়ে আটকে পড়া চুলের গোছা ও মাথার উপরের ত্বক থেকে শরীর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রায় কুড়ি ফুট উপর থেকে নিচে পড়েছিলেন তরুণী। ঘটনায় গুরুতর চোট লাগে প্রিয়াঙ্কার। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু কলকাতায় পৌঁছানোর আগেই তরুণীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর ওই নাগরদোলা বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন।