মুর্শিদাবাদ: সাংগঠনিক বৈঠকেই আক্রান্ত বিজেপির জেলা সভাপতি (BJP Leader)! নবগ্রামে বৈঠক চলাকালীন দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ বিজেপির। বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা সভাপতি-সহ নেতাকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ। ১০-১৫জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে লাঠি, বাঁশ নিয়ে হামলার অভিযোগ। 'তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব', অভিযোগ বিজেপির। হামলার প্রতিবাদ রঘুনাথগঞ্জে বিজেপির পথ অবরোধ। 'জনভিত্তি নেই, শুধুই অশান্তির চেষ্টা', অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি তৃণমূলের (TMC)।


অপরদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কেষ্টপুরে, তৃণমূল কাউন্সিলারের অফিসে ডেকে, বিজেপি (BJP) কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল কেষ্টপুরে (Kestopur)। 'আখের রসের মেশিনে ঢুকিয়ে মুড়ে দেব ', কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার পর হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে, পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও (TMC)। বিজেপি কর্মীর পারিবারিক বিবাদ মেটাতে অফিসে ডেকেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর।সেখানেই বিজেপি যুব নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল! 


 অন্যদিকে অশান্তি, শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করল তৃণমূলও। সোমবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় কেষ্টপুরে। বিজেপির দাবি, পারিবারিক বিবাদ মেটানোর কথা বলে, তাদের এক কর্মীকে পার্টি অফিসে ডেকেছিলেন বিধাননগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগ। সেখানেই বিজেপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হয়েছেন রাজারহাট নিউটাউন মণ্ডলের বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক-সহ দু-তিনজন। বিজেপি নেতা বিকাশ বিশ্বাস বলেন,'রাজীবের কিছু একটা পারিবারিক সমস্যা নিয়ে বিচার ডেকেছিল। ওই পৌরপিতার অফিসে গেলাম, আমি ভিতরে যেই ঢুকলাম, উনি চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে বলছেন, তোর নেতাগিরি ছুটিয়ে দেব, চড়-থাপ্পর মারলেন। প্রকাশ্যে পাবলিক প্লেসে মেরে অজ্ঞান করে দিলেন।'


আরও পড়ুন, মৃত্যুর পর সামনে এল রোগীর 'ডেঙ্গি আক্রান্ত'-র রিপোর্ট ! 'গাফিলতি'-র অভিযোগ সিপিএমের


এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে, বিজেপির যুব নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেই অশান্তি, গালিগালাজ, শ্লীলতাহানির অভিযোগে বাগুইআটি থানায় FIR দায়ের করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। বিধাননগর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগ বলেন,'আমি কাউকে ডাকিনি, আমার পার্টি অফিসের বাইর মহিলাদের সঙ্গে গন্ডগোল হওয়ায় আমি বেরিয়ে এসে বারণ করি, ওরা যে বিজেপি করে জানি না। অভিযোগ ভিত্তিহীন। 'এদিকে দলীয় কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার পরই, হুমকির সুর শোনা গেছে এক বিজেপি নেতার গলায়।