সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দোড়গড়ায় দীপাবলি (Diwali)।রাজ্যজুড়ে বাজি তথা বোমা নিয়ে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। তারপরেও ঘটে গেল কালীপুজোর ঠিক আগে মর্মান্তিক ঘটনা। পানিহাটি পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ড তেজপাল এলাকায় বাড়ির মধ্যে হল বোমা বিস্ফোরণ। আর সেই বোম বিস্ফোরণেই উড়ে যায় এক ব্যক্তির হাত। বলাই বাহুল্য, ঘটনার জেরে মুহূর্তেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় খড়দহ থানার পুলিশ। এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। 


পানিহাটি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড তেজপাল এলাকাতে বাড়ির মধ্যেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বোম বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই ছিল পার্শ্ববর্তী বাড়ির জানালার কাচ ভেঙ্গে যায়। ওই বোম বিস্ফোরণেই উড়ে যায় বাড়ির মালিক জিতেন্দ্র গুপ্তার হাত। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাগর দত্ত হাসপাতাল ও তারপরে কলকাতার হাসপাতলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় খড়দহ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে বাড়িতে থাকা মজুত হওয়া বোম উদ্ধার করে নিয়ে যায়। যদিও বোমা উদ্ধার হলে ভরা উৎসবের মরশুমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে তীব্র আতঙ্ক। 


প্রসঙ্গত, পুজোর আগে  এগরা, বজবজের পর এবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দত্তপুকুরের বেআইনি বাজি কারখানা। গত ১৬ মে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সাক্ষী থেকেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা। সে বার ভানু বাগ নামে এক ব্যক্তির বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গুরুতর জখম হয়েছিলেন ভানু বাগও। শরীরের ৮০% পুড়ে গিয়েছিল। তবে বিস্ফোরণের পর বাইকে চেপে এলাকা থেকে পালান ভানু। ছেলে-ভাইপোর সঙ্গে বাইকে চেপে পালান তিনি। ঝলসে যাওয়া অবস্থাতেই এলাকা ছেড়ে ওড়িশায় রওনা দিয়েছিলেন বেআইনি বাজি কারখানার মালিক, দাবি ছিল পুলিশের।


আরও পড়ুন, অভিষেকের বিরুদ্ধে 'ডায়মন্ডহারবার' কেন্দ্রে নৌশাদ ? কী বললেন TMC-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক


বাইকে করে প্রথমে বালেশ্বর যান ভানু, ভর্তি করা হয় এফএমএমসিএইচ হাসপাতালে। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, অনুষ্ঠান বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আহত হয়েছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কটকের রুদ্র হাসপাতালে। কিন্তু দত্তপুকুরের 'ভানু বাগ' কে? এই নিয়ে শামসুল নামে এক ব্যক্তির কথা জানা গিয়েছে। শামসুল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী, দাবি স্থানীয়দের। তাঁরই বাড়িতে ওই বেআইনি বাজি কারখানা চলত।