রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারে প্রাক্তন মন্ত্রী ও ভরতপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়কের ঘনিষ্ঠ অঞ্চল সভাপতিকে প্রকাশ্যে মারধরের, অভিযোগ উঠল ব্লক সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে।      

অভিযোগ, গতকাল পুলিশের (Police) ডাকা জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি  বৈঠকের মধ্যেই বিধায়ক ঘনিষ্ঠ ও সভাপতি ঘনিষ্ঠদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গন্ডগোলের জেরে ভেস্তে যায়  বৈঠক। অভিযোগ, তার জেরে আজ সকালে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ঘনিষ্ঠ অঞ্চল সভাপতি তাপস রায়ের ওপর হামলা চালান ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের অনুগামীরা। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্লক সভাপতি। ওসি-র ডাকা সভাতেই গন্ডগোল, উল্টে পুলিশের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। শাসকদলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।                                                                              

ঠিক কী ঘটেছে?  

বাজারে ঢুকতেই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে ঘিরে ধরলেন কয়েকজন। মুহূর্তের মধ্যেই শুরু হল মারধর। ধাক্কা দেওয়া থেকে কিল, চড়, ঘুষি - কিচ্ছু বাদ গেল না। শনিবার মুর্শিদাবাদের সালারের কাগ্রাম বাজারে প্রকাশ্যে মারধর করা হয় ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ঘনিষ্ঠ স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি তাপস রায়কে।                                             

আরও পড়ুন, ‘এক দেশ, পুলিশের এক উর্দি’র প্রস্তাবের পক্ষে সওয়াল মোদির, বাড়ছে বিতর্ক

সেই ঘটনায় উঠে এল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের অভিযোগ। কাঠগড়ায় সালার ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের অনুগামীরা। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। স্থানীয় সূত্রে খবর, জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে শান্তি বৈঠক ঘিরে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অঞ্চল সভাপতি ও ব্লক সভাপতিদের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, সেই ঘটনার জেরেই এদিন সকালে বাজারে যেতেই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। 

তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে মারধর। হামলার নেপথ্যে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্তের। মুর্শিদাবাদের সালার ২ এর তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "গ্রাম্য বিবাদ। অঞ্চল সভাপতিই গতকাল গণ্ডগোল করেছে।" যদিও এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির। 

হামলার পর তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে উদ্ধার করে সালার থানার পুলিশ। প্রাথমিক চিকিত্‍সার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।