নয়া দিল্লি: হরিয়ানায় (Haryana) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের (Home Minister) চিন্তন বৈঠকে ‘এক দেশ, পুলিশের এক উর্দি’র প্রস্তাবের পক্ষে সওয়াল করলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। যা নতুন বিতর্ক ও জল্পনার জন্ম দিল। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আক্রমণের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা।                                                                    


হরিয়ানায় বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বৈঠক। শুক্রবার সেই বৈঠকেই ভার্চুয়ালি ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)। আর দু’দিনের এই চিন্তন বৈঠক জন্ম দিল নতুন বিতর্কের! নতুন জল্পনার। ‘এক দেশ, পুলিশের এক উর্দি’....কার্যত এই প্রস্তাবের পক্ষে সওয়াল করলেন নরেন্দ্র মোদি।           


প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এক দেশ এক রেশন কার্ডের মতোই সারা দেশের পুলিশের জন্য একই উর্দিও চালু করতে পারি। আমি মানছি প্রতিটি রাজ্যের আলাদা চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যগুলি চিন্তাভাবনা করতেই পারে। ভবিষ্যতে এই ভাবনা বাস্তবায়িত হতেই পারে।"                         


সংবিধান অনুযায়ী পুলিশ যে কোনও রাজ্য সরকারের অন্তর্গত। তাই বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশের উর্দির রং মোটের ওপর খাঁকি হলেও, কখনও কখনও তা পাল্টেও যায়। আবার পশ্চিমবঙ্গেই কলকাতা পুলিশ যেখানে সাদা রংয়ের উর্দি পড়ে সেখানে রাজ্য পুলিশের কর্মীরা খাঁকি রংয়ের পড়েন। উর্দির রং দেখে প্রতিটি রাজ্যের পুলিশকে আলাদা করে চেনা যায়।                 


আরও পড়ুন, দশ বছরে রেকর্ড পারদ পতন কলকাতায়, একলাফে কমল তাপমাত্রা


কিন্তু, আগামী দিনে কি গোটা ভারতে পুলিশের উর্দির রং এক হতে পারে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উস্কে দিল সেই জল্পনা। বর্তমানে যেখানে বিরোধী দলগুলি বারবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে...বারবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার এক্তিয়ারে, ঘুরপথে বিজেপি সরকার হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ উঠছে, তখন শুক্রবার অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণভাবে রাজ্যের এজেন্সি ও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির মধ্যে আরও সমন্বয় সাধনের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।


মোদির কথায়, এখন আইন-শৃঙ্খলা কোনও একটি রাজ্যের বিষয় আর নেই। রাজ্যের বাইরে আন্তর্জাতিক স্তরেও পৌঁছে যাচ্ছে। তাই কেন্দ্রের এজেন্সি ও রাজ্যের এজেন্সিগুলির মধ্যে আরও সমন্বয়ের প্রয়োজন।