রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : ভোট মিটেছে। সরকার গঠন হল। বাংলা পেল দুই প্রতিমন্ত্রী। বাংলা তৃণমূল কংগ্রেসের ২৯ জন প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠাল। কিন্তু বঙ্গজুড়ে অশান্তি প্রশমিত হল না, বরং বেড়েই চলেছে । দিক দিক থেকে আসছে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর। কখনও যুযুধান দুটি আলাদা দলের সমর্থকেরা। কখনও লড়াইটা একটা দলের মধ্যেই।
মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার গজনীপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মী সনাতন ঘোষ দুধের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাত বারোটা নাগাদ তিনি ও আরো দুই দুগ্ধ ব্যবসায়ী গজনীপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন মোটরবাইকে চড়ে। অভিযোগ, গজনীপুর ও শ্রীপুরের মধ্যবর্তী মাঠ এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে।
সনাতন ঘোষের দেহে একাধিক গুলি লেগেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গুলির আওয়াজ ও চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা কাছে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই ব্যক্তি । সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিহারপাড়া থানার পুলিশ। আশঙ্কা জনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এ ঘটনায় তৃণমূল সমর্থকদের অভিযোগ বিজেপির দিকেই।
কলকাতায় 'তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল'
শহর থেকে জেলা সব জায়গায়ই ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে। ভোট মিটতেই কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। রাজডাঙার পর এবার কসবার ইন্দুপার্ক এলাকা। ফের সংঘর্ষে জড়ালো ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্না ও ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীরা। রাতের অন্ধকারে পড়ল বোমা, চলল গুলি। ছাড় পেলেন না মহিলারাও। লিপিকা মান্নার অনুগামীদের বিরুদ্ধে বহিরাগত এনে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই এক মহিলাকে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। এরপর কসবায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে খালি কার্তুজের খোল। যদিও হামলা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার তরফে।
আরও পড়ুন :
তৃতীয়বারও রইলেন নির্মলা, মোদির মন্ত্রিসভায় এবার মহিলা কতজন জানুন