মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায়, ন'বছরের বালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে আসা হলে দেহ আটকে দেখান হয় বিক্ষোভ।
অভিযোগ, পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধর্ষণের অভিযোগ গ্রহণ করেনি। এরপরই ফরাক্কা থানা সূ্ত্রে জানানো হয়, পরিবারের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদম্ত করা হচ্ছে, আজ ময়নাতদন্ত হবে বালিকার, জানানো হয়েছে ফরাক্কা থানার তরফে।
অন্যদিকে , হাবড়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ধৃত অভিযুক্ত নিহত বধূর স্বামী, তিনি কলকাতা পুলিশের গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত। এক মাস আগে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফে। তারপরই ফেরার হয়ে যান অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের গাড়ির চালক। অভিযোগ, থানায় দায়ের অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন পঞ্চায়েতের ২ সদস্য। এর মধ্যেই গত শনিবার, গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ৩ জনকেই গ্রেফতার করা হয়, ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে, রাবণ বধ দেখে ফেরার পথে যুবতীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। দিদিকে বাঁচাতে গিয়ে মার খেলেন ভাই। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত টাকি রোডের উপর। জজ অস্ট্রেলিয়া গ্রাফের গলিতে রাবণ বধ দেখে ফেরার পথে নির্যাতিতা এক যুবতি। রবিবার রাতের ঘটনা, ছয় থেকে সাত জন যুবক-যুবতী টাকি রোডে নিজেদের মধ্যে বচসায় লিপ্ত ছিল সে সময় নির্যাতিতার বাবা,ভাই ও নির্যাতিতা বাইকে করে সেখান দিয়ে যাচ্ছিল,তখন ওই মদ্যপ তো যুবক-যুবতীরা তাদের বাইকে লাথি মারে। আক্রান্ত নির্যাতিত যুবতী ও তার ভাই বাইকে লাথি মারার প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত যুবতী ও তার ভাইকে প্রথমে আটকায়, তারপর মারধর করে পাশাপাশি তাকে টেনে-হিঁচড়ে একটা গলির ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার ভাই দিদিকে উদ্ধার করেতে চেষ্টা করে,নির্যাতিতার ভাইকেও মারধর করা হয়, নির্যাতিতা এবং নির্যাতিতার ভাইয়ের জামা কাপড় ছিঁড়ে দেওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত যুবতীকে শ্রীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাস্থলে বারাসাত থানার পুলিশ পৌঁছালেও কোনো রকমের পদক্ষেপ নেয়নি এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। এর পরবর্তী সময়ে নিজেদের পরিবার ও স্থানীয় প্রতিবেশী সহ বারাসাত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে আসলে ঘটনা স্থলে থাকা কর্তব্যরত পুলিশকর্মী দুর্ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ। সমগ্র ঘটনা মদ্যোক্ত যুবকদের বিরুদ্ধে মারধর ও শিলতা হানির অভিযোগের পাশাপাশি বারাসাত থানার কর্তব্যরত অফিসারের নামও কর্তব্যে গাফিলতির সহ দুর ব্যবহার করার লিখিত অভিযোগ দায়ের নির্যাতিতার পরিবারের ।
পাশাপাশি বারাসাত পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দাশগুপ্ত জানায় যে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিক সদর্থক ভূমিকা পালন করেনি, অন্যথায় ঘটনাস্থলেই অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হতো। সমগ্র বিষয় নিয়েও লিখিত অভিযোগ করেন আক্রান্ত যুবতী। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করছে বারাসাত থানার পুলিশ।