রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: পরীক্ষায় গার্ড দিতে হচ্ছে মিড মে মিল কর্মীকে। রান্না সেরে দিতে হচ্ছে পরীক্ষার গার্ড। কিন্তু কেন? শিক্ষকের অভাবে এভাবেই পরীক্ষা চলছে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায়। 


হরিহরপাড়ার শ্রীপুর জুনিয়র হাই স্কুলে ৭১ জন ছাত্রীছাত্রী আছে। কিন্তু নেই কোন স্থায়ী শিক্ষক। এক জন অতিথি শিক্ষকই স্কুলের পড়াশোনা থেকে দেখভালের দায়িত্বে।  মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার শ্রীপুর জুনিয়র হাই স্কুলে ২টি ঘরে চলছে ৪ টি ক্লাসের পরীক্ষা। কিন্তু শুধুমাত্র অতিথি শিক্ষক বদরুল ইসলাম একা কীভাবে দুই ঘরে গার্ড দেবেন ? অগত্যা দায়িত্ব দিয়েছেন স্কুলের মিড ডি মিলের রাঁধুনি রেকসোনা বিবিকে। অতিথি শিক্ষক  বদরুল ইসলাম জানান, ৯ মাস ধরে একাই স্কুল চালাচ্ছেন তিনি। 


জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে তৈরি হয় শ্রীপুর জুনিয়র হাই স্কুল । সেই সময় ছিলেন  একজন স্থায়ী শিক্ষক ও দুই জন অতিথি শিক্ষক । দুই অতিথি শিক্ষকের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে । নতুন করে অতিথি শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দিন বদরুল। কিন্তু বছর কয়েক আগে অন্য স্কুলে বদলি হয়ে যান ওই স্কুলের একমাত্র স্থায়ী শিক্ষক। ফলে বর্তমানে একাই স্কুল সামলান বদরুল। অতিথি শিক্ষক বদরুল ইসলাম জানান, তাঁর চাকরির মেয়াদ মাত্র এক বছর। এরপর স্কুল চলবে কীভাবে ?


আরও পড়ুন, এবার মমতাকে চরম আক্রমণ BNP নেতা রিজভির! 'আমি তো জানতাম আপনি...'


এদিকে, পড়ুয়ার অভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অসংখ্য প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরকারি হিসেবে, জেলার ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা সবচেয়ে কম। জানুয়ারি মাসে স্কুলগুলিতে নতুন সেশন শুরু হবে তারপরেও ছবিটার বদল না হলে পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে জেলার অসংখ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়। জেলায় বেহাল স্কুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। 



দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্কুলে শিক্ষক আছে ছাত্র নেই। মুর্শিদাবাদে আবার উল্টো ছবি। সেখানে ছাত্র আছে শিক্ষক নেই। স্কুলের বেহাল দশা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ বিরোধীদের।                                                           


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে