রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের (Robinson Street Case) ছায়া। এবার মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। সাগরদিঘির (Sagardighi) পোপাড়া গ্রামে। মৃত মায়ের দেহ বেশ কয়েকদিন ধরে ঘরেই আগলে বসে ছেলে ! কয়েকদিন ধরেই দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল বলেই জানান স্থানীয়রা। শনিবার যে ঘর থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। যার পরে স্থানীয়রা খবর দেন সাগরদিঘি থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি আটক করা হয়েছে ছেলেকে। খুনের কোনও ঘটনা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যুর পরে কোনও মানসিক বিকৃতির জেরে মায়ের পচাগলা দেহ আগলে রাখার চেষ্টা, খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পাশাপাশি ঘটনা ঘিরে খানিক দ্বন্দ্বেও স্থানীয়রা।


পুলিশ (Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম পূর্ণিমা দাস। আর ধৃত ছেলের নাম সর্বেশ্বর দাস। ওই মহিলা দীর্ঘদিন ধরে কোনও রোগ ভোগে ভুগছিলেন কি না, খোঁজ খবর নিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় দিন তিনেক ধরে তারা ওই বাড়িটি থেকে দুর্গন্ধ পেতে শুরু করেছিলেন। শনিবার প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। স্থানীয়রা প্রবল হাঁকডাক করলেও কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে শেষপর্যন্ত খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে মৃতের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি সাগরদিঘি থানার পুলিশ মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে (Jangipur Mahakuma Hospital)। মৃতার ছেলেকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।


আরও পড়ুন- অঙ্গনওয়াড়ির খাবারে সাপ ! নদিয়ায় অসুস্থ কয়েকজন শিশু, তুমুল শোরগোল


মাসখানেক আগেই  রবিনসন স্ট্রিটের আতঙ্ক ফিরে এসেছিল হাওড়ার জগাছায়। স্ত্রীর মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন স্বামী। সমীক্ষার কাজে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছিল হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীদের। খবর পেয়ে ৬৭ বছরের তপতী চক্রবর্তীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে জগাছা থানার পুলিশ (Jagacha Police Station)। পুলিশের অনুমান, ৪-৫দিন আগে মৃত্যু হয়েছে মহিলার। বৃদ্ধকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে (Hospital)। ৪-৫ দিন ধরে মৃত স্ত্রীর সঙ্গে একই ঘরে কাটান স্বামী। হাওড়ার জগাছা থানা নন্দীপাড়ার এই বাড়িতে বছর ৭০-এর স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন ৭৫ বছরের তুষার চক্রবর্তী। একমাত্র মেয়ে থাকেন হায়দরাবাদে। প্রতিবেশীদের দাবি ছিল, ঘটনার আগের কিছুদিন বৃদ্ধ দম্পতির কাউকেই বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি।