রাজীব চৌধুরী ও অনির্বাণ বাগচী, এবিপি আনন্দ, মুর্শিদাবাদ : মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে (Murshidabad Medical College) চিকিৎসকদের মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ উঠল শাসক-নেতার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের (TMC) বহরমপুর শহর সহ সভাপতি বিপ্লব কুনডু-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 


চিকিৎসক (Doctors), নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলায় জিরো টলারেন্সের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। কিন্তু, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূলেরই শহর সহ সভাপতি ও কয়েকজন তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের বহরমপুর শহর সহ সভাপতি বিপ্লব কুনডু-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।


এই ঘটনা ঘিরে তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন এক রোগী। কিন্তু তাঁর চিকিৎসা ঠিকঠাক হয়নি, এই অভিযোগে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান তৃণমূলের বহরমপুর শহর সভাপতি-সহ বেশ কয়েকজন।                       


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বচসা ক্রমেই গড়ায় অশান্তিতে। হাসপাতালের তরফে অভিযোগ পেয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর থানার (Baharampore Police Station) পুলিশ। হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ তুলেছেন ধৃত এক তৃণমূল কর্মী। ধৃত ৬ জনকে এদিন আদালতে তোলা হলে সকলেরই পয়লা জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।


আরও পড়ুন- মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর, ভেঙে চুরমার সামনের কাচ 


গত বছরের মাঝামাঝি রাতের রাস্তায় চিকিৎসককে (Doctor) নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। গাড়ি আটকে, গাড়ি থেকে নামিয়ে কটূক্তি এবং মারধরের অভিযোগ করেছিলেন চিকিৎসক ও তাঁর সঙ্গীরা। গোটা ঘটনায় চিকিৎসকের নিশানায় ওঠে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিডিওর নাম। এমন একটি অভিযোগে বিডিওর নাম জড়ানোয় প্রবল চাঞ্চল্য় ছড়ায় জেলা প্রশাসনের অন্দরে। মারধরে গুরুতর জখম হন ওই চিকিৎসক। তাঁর পাঁজরের দুটি হাড় ভেঙে গিয়েছিল বলে অভিযোগ।                                                     


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?