শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে গোটা হাসপাতালে একফোঁটা খাবার জল নেই। রোগীদের হয়রানি হচ্ছে, সমস্যায় রোগীর পরিজনেরাও। বাধ্য হয়ে খরচ করে বাইরে থেকে জল কিনে খেতে হচ্ছে তাঁদের। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। 


গরমের মধ্যে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চরমে পৌঁছেছে পানীয় জলের সঙ্কট। অথচ হাসপাতালে রয়েছে ওয়াটার এটিএম, হাসপাতালের ভবনের উপরে হয়েছে জলের রিজার্ভারও। কিন্তু হাসপাতালের কোনও কলে জল নেই। একদিকে হাঁসফাঁস করা গরম, তেষ্টায় বারবার গলা শুকোচ্ছে। অথচ গোটা হাসপাতালে পানীয় জল নেই। তেষ্টা মেটাতে বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে পানীয় জল! ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে এমন জল সঙ্কটের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের মধ্যে। 


হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীর আত্মীয় মিনতি মন্ডল বলেন, 'হাসপাতালে জল পাওয়া যাচ্ছে না, কিনে খেতে হচ্ছে।' একই সমস্যার কথা বলেছেন আরও অনেকে। সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, বাসন্তী, গোসাবা, ঝড়খালি, সরবেড়িয়া-সহ একাধিক জায়গার বাসিন্দারা চিকিৎসার জন্য এই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে উপর নির্ভরশীল। হাসপাতালে আসতে যেতে এমনিতেই অনেকটাই টাকা খরচ হয়ে যায়। এছাড়াও খাবার, ওষুধের জন্যও খরচ হয়। তার উপর যদি প্রতিদিন পানীয় জলের জন্য খরচ হয় তাহলে আরও অনেকটা টাকাই খরচ হয়ে যায়। এর রোগীর আত্মীয় প্রদীপ সর্দার বলেন, 'আমরা অনেক দূর থেকে এখানে চিকিৎসা করাতে এসেছি। অথচ এখানে জলটুকুও নেই। দ্রুত যাতে জলের সমস্যা মেটে, তার ব্যবস্থা করা হোক।' গত বছর ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে মোটা টাকা খরচ করে বসানো হয় ওয়াটার এটিএম। অথচ দেখভালের অভাবে কয়েক মাস পর থেকেই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে সেই ব্যবস্থা। এমন ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।


রাজনৈতিক তরজা:
বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র সঞ্জয় নায়েক বলেন, 'সারা রাজ্যেই তো চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা, মদন মিত্রও তো মুখ খুলেছেন। তৃণমূল নেতারা নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ি তো ব্যস্ত। সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাবে না সেটাই তো স্বাভাবিক।'বাসন্তীর তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, 'কিছুদিন ধরে জলের সমস্যা হয়েছে, আমি খবর পেয়েছি। বিডিওকে বলেছি যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে।'


আরও পড়ুন: শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে বিশেষভাবে উপকারী নারকেল, কীভাবে ব্য়বহার করবেন?