বহরমপুর : লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। মুর্শিদাবাদে শ্যুটআউটে খুন তৃণমূল কর্মী । বহরমপুরে তৃণমূল কর্মী সত্যেন চৌধুরীকে গুলি করে খুনের ঘটনার শোরগোল পড়ে গেছে এলেকায়। বাইকে চেপে এসে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালানো হয়। বাড়ির কাছেই গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী। পরে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খুনের কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা রয়েছে। অধরা দুষ্কৃতীরা।


নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটের একতলায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। মৃত্যু নিশ্চিত করার পরে সেখান থেকে পালায় দুষ্কৃতীরা। রাজনৈতিক না ব্যক্তিগত কোন আক্রোশ থেকে এই খুনের ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য যুগল হালদার বলেন, "পেমেন্টের জন্য হিসাবপত্র করছিলেন। সেই সময় ঢুকলাম। দাদা বললেন, কেমন আছিস। আমি বললাম, ভাল আছি। তারপর একটা ফোন এল ওঁর কাছে। কে ফোন করেছিলেন জানি না। বললেন, একটা নিমন্ত্রণ আছে। খাব না, একাদশী। যাব, দেখা করে চলে আসব। ওঁর সঙ্গে তো সেরকম শত্রুতা কারও ছিল না ! ব্যবসায়িক কারণও হতে পারে, রাজনৈতিক কারণও হতে পারে। কনফার্ম কিছু বলা যাচ্ছে না। রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন পুরো। চেয়ারে বসেছিলেন। যা হয়েছে সামনাসামনি। হয়তো প্রস্তুত ছিলেন না। এর আগে একটা জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ হয়েছিল। সুতির মাঠে।" তৃণমূল নেতা মনোজ ঝা বলেন, "একটা বাড়ি করছিলেন, সেখানে ছিলেন। বাড়ির কাছাকাছিই ছিলেন। এখন অধিকাংশ মিটিং-মিছিলে ওঁকে দেখা যেত না। তবে, পার্টির মূল মিটিংয়ে অবশ্যই যেতেন। ওঁর দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব কিছু ব্যবসা ছিল। তিনি এখন পাড়াতেই সবসময় থাকতেন। জানি না। কীভাবে কী হয়েছে।" 


নভেম্বরে খুন তৃণমূল কর্মী-


গত ২২ নভেম্বর ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুন হন। ভিকিকে প্রথমে তাঁর নাম জিজ্ঞেস করে আততায়ীরা। তার পর এলোপাথাড়ি গুলো ছোড়ে তাঁকে লক্ষ্য করে। তার আগে ২০২১ সালে ভাটপাড়ায় তৃণমূল সমর্থক আকাশ যাদব খুন হন। আকাশের খুনের ঘটনায় ভিকি ছিলেন অন্যতম সাক্ষী। সেই জন্যই তাঁকে খুন হতে হল কিনা, প্রশ্ন ওঠে গোড়াতেই। ঘটনায় সঞ্জিত সিংহ ওরফে পাপ্পুকে গ্রেফতার করা হয়। অর্জুন সিংহের (Arjun Singh) আত্মীয় সঞ্জিত। দলীয় কর্মী খুনে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।