জলঙ্গি : ফের মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) অঞ্চল কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের (TMC) কোন্দল। কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার বৈধতা অস্বীকার করলেন তৃণমূলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়।


পঞ্চায়েত ভোটের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। এরই মধ্যে অঞ্চল কমিটি গঠন নিয়ে বার বার প্রকাশ্যে আসছে শাসক দলের অন্দরের বিবাদ। গতকাল দলের একাংশ জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রজ্জাকের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে নতুন অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণার অভিযোগ তোলেন। ওই কমিটির বৈধতা অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী জানিয়েছেন, দলের নির্দেশে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে সমস্ত অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর কেউ তালিকা ঘোষণা করলে, তা গ্রাহ্য হবে না। জেলা সভানেত্রীই এতদিন তালিকা প্রকাশ করতে দেননি, বলে পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রজ্জাক।


আরও পড়ুন ; একই অঞ্চলে ২ জন সভাপতি ! পঞ্চায়েত ভোটের আগে সামশেরগঞ্জে তৃণমূলে কোন্দল


বিতর্ক জলঙ্গির দক্ষিণ সাংগঠনিক ব্লকের পাঁচটি অঞ্চলের সভাপতি ঘোষণা নিয়ে। দলের ঘোষণা করা অঞ্চল সভাপতিদের নাম খারিজ করে, শুক্রবার নতুন অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেন জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রজ্জাক। ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিধায়ক ঘোষিত সভাপতিদের বৈধতা দিতে অস্বীকার করেন তৃণমূলের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী শাওনি সিং রায়। তিনি বলেন, "দলের নির্দেশ অনুসারে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে দলের সমস্ত অঞ্চল সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর কেউ সভাপতি ঘোষণা করলে সেটা বাস্তবায়িত হবে না। দলের সাথে আলোচনা না করে যদি ঘোষণা হয়, সেটা দলের বাইরে হচ্ছে। জলঙ্গিতে নতুন করে সভাপতি ঘোষণা হয়েছে, সেটাকে দল মান্যতা দেয় না।"


দিনকয়েক আগে সামশেরগঞ্জেও একই রকম ছবি দেখা যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সামশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম ও ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামের বিবাদ দীর্ঘদিনের। 


গত রবিবার তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তাসিরুদ্দিন আহমেদ প্রকাশ করেন সামশেরগঞ্জের কাঞ্চনতলা অঞ্চল কমিটির তালিকা। যেখানে সভাপতি হিসেবে নাম রয়েছে সামশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ আব্দুল বারির। কিন্তু সেই তালিকাকে মান্যতা না দিয়ে সোমবার আলাদা একটি তালিকা প্রকাশ করেন ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল
ইসলাম। সেই তালিকায় অঞ্চল সভাপতি হিসেবে নাম রয়েছে মণিরুল-ঘনিষ্ঠ দেলোয়ার হোসেনের। দু’পক্ষই দাবি করেছে, অন্য কমিটি অবৈধ, নিজেদের কমিটি বৈধ।


এই পরিস্থিতিতে কোন অঞ্চল সভাপতিকে মানবেন? এই নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা।


আরও পড়ুন ; এই পেঁয়াজ কাটলেও চোখে আসে না জল! রয়েছে আরও গুণ, জেনে নিন কী কী?