রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: টাকা নেওয়ার অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ খোদ তৃণমূলের (TMC) বিধায়কের বিরুদ্ধে। সেই কারণেই বিধায়কের বাড়িতেই তাণ্ডব চলল। অভিযোগ, খোদ তৃণমূল কর্মীদেরই একাংশের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগোলার ঘটনা। ভাঙচুর করা হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলির বাড়ি। সোমবার রাত সাড়ে আটটা থেকে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় বিধায়ক ইদ্রিশ আলির বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন বিধায়ক। ভাঙচুরের খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছয় ভগবানগোলা থানার পুলিশ। রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত থাকে গোটা এলাকা।  ইদ্রিশ আলির বাড়ির আসবাবপত্র, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ বিধায়কের। 


কী অভিযোগ?
টাকা নিয়ে দলীয় পদ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিধায়কের বাড়িতে। দলের পদ পেতে গেল বিধায়ককে টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ। দলের অঞ্চল সভাপতি, ব্লক সভাপতি করার জন্য টাকা নিয়েছেন ইদ্রিশ আলি, এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল নেতার একাংশের। কারও থেকে ১২ লক্ষ টাকা, কারও ৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ। প্রতিটি অঞ্চলে অঞ্চল সভাপতি করার জন্য ৪ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ। এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল। 


পাল্টা অভিযোগ:
যদিও টাকা নেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ বিধায়কের। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ ইদ্রিশ আলির। বিধায়ক বলেন, 'বাড়ি ভাঙচুর করেছে। পিছনের লাইট, চেয়ার সব ভেঙেছে। পঞ্চায়েত সভাপতির এক সদস্যকে মেরেছে।'



বিজেপির কটাক্ষ:
বিজেপি (BJP) নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'গত কয়েকদিনের ঘটনাক্রম দেখবেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মানুষের জুতো, অনুব্রত মন্ডলকে গরু চোর বলা। ইদ্রিশ আলির উপর যেভাবে তাঁরই পার্টির লোকেরা যেভাবে চড়াও হল। তার থেকে বোঝা যাচ্ছে, পয়সা ছাড়া এই পার্টিটার কিছুই নেই। যে কোনও মূল্যে যেভাবে হোক পয়সা রোজগার কর। মানুষও তার জন্য অসহিষ্ণু হয়ে গিয়েছে। না হলে এভাবে বিধায়েকর বাড়িতে চড়াও হতে পারেন না।'

এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে না পেয়ে তাঁর পঞ্চায়েত সদস্যা স্ত্রী ও ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেছিলেন অভিযোগকারীরা। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, একদা নান্টু প্রধানের ঘনিষ্ঠ শিবশঙ্কর নায়েক বেপাত্তা।


আরও পড়ুন: ভাঙন রোধে বরাদ্দ কত? বিধায়ক বলছেন ৪২ কোটি, মন্ত্রীর দাবি ৭!