বহরমপুর: সকাল থেকে গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন সকলেই। বিকেলের দিকে মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজবে মুর্শিদাবাদ। সঙ্গে প্রবল বেগে বইবে ঝওড়ো হাওয়ায়। তার জেরে তাপমাত্রাও কমবে অনেকটাই। শুক্রবার এমনই থাকবে মুর্শিদাবাদের সামগ্রিক আবহাওয়া (Murshidabad Weather)।  


বিকেলের পর ভার বৃষ্টির সম্ভাবনা মুর্শিদাবাদ জেলায়


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার দুপুরের পর থেকে পাল্টাবে মুর্শিদাবাদের আবহাওয়া। আকাশ কালো হয়ে আসবে। তার পর বৃষ্টি নামবে অঝোর ধারায়। এ দিন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। ভারী বৃষ্টিতে ভইজবে জেলার প্রায় সব জায়গাই। ৫০ থেকে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে জেলায়। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। শোনা যেতে পারে বজ্র-বিদ্যুতের গর্জনও। 


শনিবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। এ দিন জেলায় বাতাসে আর্দ্রতার হার ৮৪ শতাংংশের আশেপাশে থাকবে। বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রার পারদ নামবে। স্বস্তি পাবেন স্থানীয় মানুষ।


একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট- 


সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস


বাতাসের আর্দ্রতা- ৮২ শতাংশ


সামগ্রিক আবহাওয়া-  মুষলধারে বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া


বাতাসের গতিবেগ- ঘণ্টায় প্রায় ১৬ কিলোমিটার সর্বোচ্চ


চন্দ্রোদয়ের সময়- বিকেল ৫টা 


চন্দ্রাস্তের সময়-সন্ধে ৬টা বেজে ১৭ মিনিট


আরও পড়ুন: PCOS : পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে ভুগছেন ? কী খাবেন, কী খাবেন না ?


ভআরী বৃষ্টির জেরে কমবে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা থাকবে ৮৪ শতাংশ


রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।


এ দিকে, সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ফলে কৃষকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও। তাতে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। তবে এ বছর এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে চাষের কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পর পর কয়েক দিন বৃষ্টি হলেও, জমিতে জল দাঁড়ানোর মতো পরিমাণ ছিল না। তার ফলে সামগ্রিক ভাবে ফসল উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে।