নয়াদিল্লি: স্থূলতা সংক্রান্ত সমস্যায় কাবু সারা বিশ্ব। আর অতিরিক্ত চর্বি জমা যে কতটা অস্বাস্থ্যকর, তা ক্রমাগত বলে চলেছেন চিকিৎসকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ( WHO ) অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতাকে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। , আমরা খাবারের মাধ্যমে যে ক্যালোরি গ্রহণ করি , তার বেশির ভাগ যদি খরচ করতে না পারি , তাহলেই সমস্যা তৈরি হয়।
নিরামিষ খান যাঁরা, তাঁরা মনে করেন, আমিষভোজীদের পক্ষে ক্যালোরির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ। কিন্তু নিরামিষভোজীরা যে খাবারগুলি খান, তার বেশির ভাগই প্রোটিন সমৃদ্ধ। অনেক নিরামিষভোজীই উচ্চ প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে থাকেন। এছাড়া পরিশোধিত শর্করা এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবারের উপর নির্ভরশীল তাঁরা। তাই অনেকেরই ওজন কমাতে অসুবিধা হতে পারে।
কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন বিষয়টা মোটেই ততটা কঠিন নয় ! নিরামিষাশীরা যদি স্বাস্থ্যকর, রোগমুক্ত এবং সক্রিয় জীবনযাপন করতে চান, তাহলে মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম। ডায়েট চার্টে করতে হবে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন।
ওজন কমাতে নিরামিষ ডায়েট প্ল্যানে কী অন্তর্ভুক্ত করা উচিত
প্রাতঃরাশ: দিনের প্রথম খাবারটি পেট ভরা হতে হবে । ব্রেকফাস্টে থাকুক ফল, শাকসবজি, শস্য, প্রোটিন জাতীয় খাবার এবং দুগ্ধজাত খাবার। প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন দইও রাখতে পারেন ব্রেকফাস্টে।
কী কী খেতে পারেন :
- রসুনের চাটনির সঙ্গে পেঁয়াজের পুর দেওয়া ওটস রুটি খেতে পারেন। '
- মটরশুটি ও অন্যান্য সব্জির স্যালাড খেতে পারেন।
- সব্জি দেওয়া রায়তা খেতে পারেন।
- মেথি স্টাফ করা রাগি রোটি
- ওটস ভেজির wrap
- দই দিয়ে জোয়ার রোটি
- চানা ও সব্জির চাট।
মধ্যাহ্নভোজন/দুপুরের খাবার : মধ্যাহ্নভোজে চর্বিহীন প্রোটিন, ফাইবার সমৃদ্ধ কার্বোহাইড্রেট এবং শাকসবজি এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটজাতীয় খাবার থাকা উচিত।
খেতে পারেন
- ১ বাটি ভাতের সঙ্গে ছানার ডাল বা ওটস চাপাটি, সঙ্গে ১ বাটি স্প্রাউট ভেল বা
- ওটস রুটি, সবজি, ভেজ স্যুপ।
রাতের খাবার: রাতের খাবারে ফ্যাট, শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট কম হওয়া উচিত।
নিরামিষাশীরা খেতে পারেন আধ বাটি উপমা/পোরিজ, কুমড়ার সবজির সঙ্গে ওটস রুটি, রায়তার সঙ্গে সবজি পোলাও, কুমড়োর সবজি ও স্যালাড দিয়ে জোয়ার রোটি ইত্যাদি।