বহরমপুর: মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিতে আজ ভিজতে পারে মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক জায়গায়। তবে বৃষ্টি হলেও গরম থেকে স্বস্তি মেলার সম্ভাবনা নেই। বিকেলের দিকে তাপমাত্রা একটু কমলেও, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। রবিবার এমনই থাকবে মুর্শিদাবাদের সামগ্রিক আবহাওয়া (Murshidabad Weather)।
বিকেলের পর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা মুর্শিদাবাদে
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলায় রবিবার আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। তবে আকাশের মুখ ভার হলেও, সকালের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই জেলায়। বরং বিকেলের পর ঝেঁপে বৃষ্টি নামতে পারে। বিকেলের দিকেও জেলার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৬০ শতাংশ। শোনা যেতে পারে বজ্র-বিদ্যুতের গর্জনও। সঙ্গে ঝোড়ো হওয়া বইতে পারে ঘণ্টায় ২২ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে।
রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। সকালের দিকে জেলায় আর্দ্রতার হার থাকবে ৭২ শতাংশের মতো। তা বেড়ে ৮৫ শতাংশ হবে বিকেলের দিকে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট-
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বাতাসের আর্দ্রতা- ৮৫ শতাংশ
সামগ্রিক আবহাওয়া- বিকেলের পর ঝেঁপে বৃষ্টি, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি
সূর্যোদয়- ভোর ৫টা বেজে ১৯ মিনিট।
সূর্যাস্ত- সন্ধে ৫টা বেজে ৫২ মিনিট।
আরও পড়ুন: HNorth 24 Parganas Weather Update: আজ কত উত্তর ২৪ পরগনার তাপমাত্রা?
আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ভোগাবে দিনভর
রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।
এ দিকে, সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ফলে কৃষকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও। তাতে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। তবে এ বছর এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে চাষের কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পর পর কয়েক দিন বৃষ্টি হলেও, জমিতে জল দাঁড়ানোর মতো পরিমাণ ছিল না। তার ফলে সামগ্রিক ভাবে ফসল উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে।