বহরমপুর: পর পর কয়েক দিন বৃষ্টির পর বিরতি। শুক্রবার ফের বৃষ্টিতে ভেজার সম্ভাবনা রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার। সকালের দিকে বৃষ্টি না হলও, বিকেলের পরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে একাধিক জায়গায়। তবে জেলার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির উপরই থাকবে। বাড়বে আর্দ্রতার হারও। শুক্রবার এমনই থাকবে মুর্শিদাবাদের সামগ্রিক আবহাওয়া (Murshidabad Weather)।  


বিকেলের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা মুর্শিদাবাদ জেলায়


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলায় দিনভর আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সকালের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই তেমন। তবে বিকেলের পর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে জেলার একাধিক জায়গায়। বিকেলের পর জেলা. বৃষ্টির সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ। সঙ্গে শোনা যেতে পারে বজ্র-বিদ্যুতের গর্জনও। সঙ্গে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে হাওয়া।  


শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। এ দিন জেলায় সকালের দিকে বাতাসে আর্দ্রতার হার ৭০ শতাংংশের আশেপাশে থাকবে। রাতের দিকে আর্দ্রতার হার থাকবে ৮২ শতাংশের মতো। 


একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট- 


সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস


বাতাসের আর্দ্রতা- ৮২ শতাংশ


সামগ্রিক আবহাওয়া-  আংশিক মেঘলা আকাশ, ঝোড়ো হাওয়া


বাতাসের গতিবেগ- ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ


সূর্যোদয়ের সময়- সকাল ৫টা বেজে ১৬ মিনিট


সূর্যাস্তের সময়-সন্ধে ৬টা


আরও পড়ুন: TMC : 'কোনও দাদার কাছে গিয়ে লাভ নেই, এলাকায় দলটা করুন, পঞ্চায়েতের টিকিট রাজ্য পার্টি দেবে', হুঁশিয়ারি সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়কের


আংশিক মেঘলা আকাশ, সঙ্গে দমকা হাওয়ার দাপট


রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।


এ দিকে, সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ফলে কৃষকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও। তাতে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। তবে এ বছর এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে চাষের কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পর পর কয়েক দিন বৃষ্টি হলেও, জমিতে জল দাঁড়ানোর মতো পরিমাণ ছিল না। তার ফলে সামগ্রিক ভাবে ফসল উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে।