বহরমপুর: যাই যাই করেও বিদায় নিচ্ছিল না শীত। বরং মাঝে ফের নিম্নমুখী হয় পারদ। তবে এ বার আর তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। কারণ ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই জ্বালা ধরাতে শুরু করে গরম।  চলতি সপ্তাহের শুরুতে এ যাবৎকালীন ফেব্রুয়ারির উষ্ণতম দিন ছিল।  তাই এ বারে গ্রীষ্মের দাবদাহ গায়ে জ্বালা ধরাবে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। 


ফেব্রুয়ারির শুরুতেও এ বছর শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছিল ভালই। মাঝে তাপমাত্রা নেমেছিল বেশ খানিকটা। কিন্তু গত কয়েক দিনে শীতের আমেজ কার্যত উধাও। সেই তুলনায় বাড়ির বাইরে পা রাখলে অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। শুক্রবারও সেই রেশই বজায় থাকবে। এ দিন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে ভ্যাপসা গরমও থাকবে না।  আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও গত কয়েক দিনের তুলনায় কমবে কিছুটা।


শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, ঝলমলে পরিষ্কার আকাশ 


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবারও মুর্শিদাবাদ জেলায় আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। সকালের দিকে অথবা রাতের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে জোরে হাওয়া বইতে পারে জেলার একাধিক জায়গায়। তবে তাপমাত্রার বৃদ্ধি হলেও,  থাকবে না অস্বস্তি। (District Weather Updates)। 


শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশে পাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। একই সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অনুভূত হবে বেলার দিকে। জেলায় সকালে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার থাকবে ৪০ শতাংশের মতো। রাতের দিকে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার ৬১ শতাংশের মতোই থাকবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।


একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট- 


সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস


বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা-৬১ শতাংশ


সামগ্রিক আবহাওয়া-বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, আরও চড়বে পারদ


সূর্যোদয়- সকাল ৫টা বেজে ৫৭ মিনিট


সূর্যাস্ত- বিকেল ৫টা বেজে ৪০ মিনিট


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: জোট হবে মানুষের সঙ্গে, '২৪-এ কারও হাত ধরবে না তৃণমূল, জানিয়ে দিলেন মমতা


রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।


এ দিকে, সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ফলে কৃষিকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। তবে শীতের প্রাক্কালে, পুজোর ঠিক পর পর ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও। তাতে আশার আলো দেখেন কৃষকরা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নতুন করে নিম্নচাপের জেরে চলতি সপ্তাহেও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা-সহ বাংলার বিভিন্ন জেলা।