বহরমপুর: আগামী ২-৩ দিনে ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে তাপমাত্রা। মার্চের শেষেই রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে পারদ। আজ ও কাল কোনও কোনও জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির সম্ভাবনা যদিও কম। তবে বেশ গরম পড়বে এদিন। হঠাৎ করে তাপমাত্রার পারদ এত চড়তে শুরু করায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে (Murshidabad Weather)।


গত কয়েক দিনে ধরে লাগাতার পারদ চড়ছে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের (Weather update) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  ২৪ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। 


এদিন আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে মুর্শিদাবাদ জেলায়। দুপুরের দিকে অস্বস্তিও হতে পারে তীব্র গরমে। শুক্রে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার গতিবেগে হাওয়াও বইতে পারে।


শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কম


হঠাৎ করে গরম বেড়ে যাওয়ায় এখন থেকেই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। (District Weather Updates) এবারে গরম দীর্ঘায়িত হতে পারেও বলে আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা। মাঝ চৈত্রেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশে পাশে থাকতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও কম থাকবে। জেলায় সকালে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার থাকবে ৬০ শতাংশের মতো। রাতের দিকে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার ৭৬ শতাংশের মতোই থাকবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে। 


একনজরে দেখে নেওয়া যাক মুর্শিদাবাদের আজকের আবহাওয়ার আপডেট- 


সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস


বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা-৭৬ শতাংশ


সামগ্রিক আবহাওয়া-আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।


সূর্যোদয়- সকাল ৫টা বেজে ৩১ মিনিট


সূর্যাস্ত- সন্ধে ৫টা বেজে ৫১ মিনিট


আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে মজুরি বাড়াল কেন্দ্র, বাকি রাজ্যের তুলনায় বাংলা পিছিয়েই, ফের বঞ্চনার অভিযোগ


রাজ্য়ের পশ্চিমের জেলা মুর্শিদাবাদ ২৪ ডিগ্রি ৫০ মিনিট থেকে ২৩ ডিগ্রি ৪৩ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৪৬ মিনিট পূর্ব থেকে ৮৭ ডিগ্রি ৪৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ৫ হাজার ৩৪১ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান।


এমনিতে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বৃষ্টির দেখা মেলে না সেভাবে, যদি না প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয় সাগরে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর অক্টোবরের শুরুতেও বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। বর্ষার মেয়াদ দীর্ঘায়িত হওয়াতেই এমনটা ঘটে বলে মত আবহবিদদের। ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতের আগমন ঘটে যায়। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ও পর্যন্ত ভাল ঠান্ডা ছিল। তবে তার পর থেকেই একটু একটু করে পারদ চড়তে শুরু করে।