কলকাতা: গরুপাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) এ বার সিআইডি-র (CID) হাতে গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad News) ব্যবসায়ী। ধৃতের নাম জেনারুল। সিআইডি-র দাবি, বেআইনিভাবে গরুপাচারে যুক্ত ছিলেন জঙ্গিপুরের এই ব্যবসায়ী। কীভাবে হত পাচার? সিআইডি-র অভিযোগ, ১৮০০ গরু কিনে, তার মধ্যে ১২০০ গরুকে মৃত বা নিখোঁজ দেখিয়ে সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়া হয়।


গরুকে নিখোঁজ এবং মৃত দেখিয়ে বাংলাদেশে পাচার!


শনিবার সন্ধেয় জেনারুলকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি-র দাবি, গরুপাচারকাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী। এনামুল এবং জেনারুল মিলে গরুপাচার করতেন। এমনকি, সীমান্তে আটক করা গরুও নিলাম থেকে কিনে পাচার করা হত বলে সিআইডি-র দাবি। অভিযুক্ত জেনারুলকে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্য়েই বাংলায় জল গড়িয়েছে অনেকদূর। তদন্তে নেমে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গরুপাচারে আরও প্রভাবশালীরা জড়িত থাকতে পারেন বলেও দাবি উঠছে। সেই আবহেই সিআইডি-র হাতে ধরা পড়লেন জেনারুল।


আরও পড়ুন: Sheikh Hasina: 'ভারতীয় গরুর উপর বাংলাদেশ খুব বেশি ভরসা করে না, বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


CID সূত্রে দাবি, এনামুলের সঙ্গে হাত মিলিয়েই এই গরু পাচার কারবার চালাত জেনারুল। যদিও ধৃতের আইনজীবী জানিয়েছেন, গরু নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে তাঁর মক্কেলের কোনও সংযোগ নেই। গরুপাচারে যুক্ত নন জেনারুল। তবে জেনারুলের সঙ্গে বিএসএফ-সহ আরও অনেকের সংযোগ ছিল বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।


তবে জেনারুলের গ্রেফতারিতে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "শুল্ক দফতর, বিএসএফ, এদের যোগসাজশেই গরুপাচার চক্র চলে।" তবে সিবিআই যেখানে তদন্ত করছে সেখানে আলাদা করে সিআইডি-র তদন্ত করা কী প্রয়োজন, প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, " CBI যেখানে তদন্ত করছে, তখন সিআইডি কেন? টুকটাক করছে, করুক। বেশি কিছু করলে কেন্দ্র থেকে দেখতে হবে।"


এ দিকে, জেনারুল গ্রেফতার হওয়ার পর স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মহম্মদ আখতারুজ্জামানের সঙ্গে তাঁর একটি ছবি সামনে এসেছে। আখতারুজ্জামান যদিও বলেন, "আমি একজন বিধায়ক। ওঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এলাকায় থাকে, তাই চিনি। কী কাজ করত, জানি না।"


গরুপাচার মামলায় রাজ্যে সক্রিয় সিবিআই-ও


গরুপাচার মামলায় এর আগে, ২০২০ সালে গ্রেফতার হন বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার। কয়েক মাস পর যদিও জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি। সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে তৃণমূল। ভিন্ রাজ্য থেকে বাংলায় গরু পাঠানো, বিএসএফ আধিকারিকদের সহযোগিতায় তা সীমান্ত দিয়ে পাচার, এ সবের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের বলে দাবি তাদের।